নড়াইলে আসামী উপহার পেলেন জায়নামাজ ও ফুলের তোড়া
নড়াইলে নিজ বাড়িতে সাজা খেটে এক আসামী উপহার পেলেন জায়নামাজ ও ফুলের তোড়া।
নড়াইল নড়াইলের নড়াগাতি থানার নলামারা গ্রামের মৃত রাজ্জাক মিনার ছেলে বালাম মিনার (৪৬) মাদকের এক মামলায় এক বছরের সাজা হয়েছিল।
কিন্তু সংশ্লিষ্ট বিচারিক আদালত তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের জন্য একজন প্রবেশন কর্মকর্তার তত্বাবধানে
শর্ত সাপেক্ষে নিজ বাড়িতে থেকে ওই সাজা ভোগের ব্যতিক্রমী এক আদেশ দিয়েছিলেন।
মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) সাজার মেয়াদ শেষ হওয়ায় আদালতের আদেশে মুক্ত হয়েছেন বালাম মিনা।
একই সাথে ওই বিচারিক আদালত ও প্রবেশন কর্মকর্তার পক্ষ থেকে একটি জায়নামাজ ও ফুলের তোড়া উপহার দেয়া হয়েছে।
এসময় উপস্থিত ছিলেন নড়াইল জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট উত্তম কুমার ঘোষ,
অতিরিক্ত পিপি অ্যাডভোকেট সঞ্জীব কুমার বসু, আসামীর অ্যাডভোকেট বিশ্বজিৎ বিশ্বাস প্রমুখ।
কুষ্টিয়ার কুমারখালীতে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ ও গর্ভপাত
নড়াইলের জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা মঙ্গলবার (২৫ আগস্ট) এই আদেশ দিয়েছেন।
চুড়ান্তভাবে মুক্ত হয়ে খুবই খুশি হয়েছেন বর্তমানে ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহকারী বালাম মিনা।
“দ্য প্রবেশন অব অফেন্ডার্স অর্ডিন্যান্স ১৯৬০” এর ৪ধারা মোতাবেক তাকে এক বছরের সাজা দেয়া হয়েছিল।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বালাম মিনার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে একটি মামলা ছিল।
এ মামলায় ২০১৯ সালের ২৫ আগস্ট এক বছরের বিনাশ্যম কারাদন্ডের আদেশ দেন নড়াইলের জুডিডিসয়াল ম্যাজিস্ট্রেট দ্বিতীয় আদালতের বিচারক আমাতুল মোর্শেদা।
কিন্তু তাকে কারাগারে না পাঠিয়ে সংশোধনের জন্য বিচারক নড়াইলের প্রবেশন অফিসার বাপ্পী কুমার সাহার
তত্বাবধানে নিজ বাড়িতে থেকে সাজা ভোগের আদেশ দেন।
এ এক বছরই নির্ধারিত সব শর্ত মেনে চলেন সাজাপ্রাপ্ত বালাম মিনা।
মঙ্গলবার বালাম মিনার সাজার মেয়াদ শেষ হলে প্রবেশন অফিসার আদালতে তাকে চুড়ান্তভাবে মুক্তি দিতে আবেদন করেন।
এ আবেদনের শুনানী শেষে মঙ্গলবার বালাম মিনাকে চুড়ান্তভাবে মুক্তি দেন বিচারক আমাতুল মোর্শেদা।
এসময় নড়াইলের প্রবেশন অফিসার বাপ্পী কুমার সাহার মাধ্যমে মুক্তিপ্রাপ্ত বালাম মিনাকে একটি জায়নামাজ ও ফুলের তোড়া উপহার দেয়া হয়।
চুড়ান্তভাবে মুক্ত হতে পেরে খুবই খুশি বালাম মিনা। তিনি বলেন, আমি ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করি।
ইজিবাইক চালিয়ে আমি বৃদ্ধা মা, স্ত্রী ও তিন কন্যা মোট ৬জনের সংসার চালাই।
আমি জেলে গেলে আমার পরিবারের অন্যদের না খেয়ে থাকতে হতো।
নড়াইলে সাবেক ইউপি সদস্যকে গলা কেটে হত্যা
আদালতের দয়ায় আমি জেল থেকে রক্ষা পেয়েছি এবং এ এক বছর আদালতের প্রতিটি আদেশ পালন করেছি।
আমি আর কোন দিন কোনো অপরাধ করব না।
নড়াইলের প্রবেশন কর্মকর্তা বাপ্পী কুমার সাহা জানান, বালাম মিনা সব শর্ত মেনেছেন এবং তার পরিবার,
নড়াইলে আসামী উপহার পেলেন জায়নামাজ ও ফুলের তোড়া, প্রতিবেশী সবাই বলেছেন তিনি সংশোধন হয়েছেন।
একারণে বিচারিক আদালত তাকে চুড়ান্তভাবে মুক্ত করে দিয়েছেন।
তিনি বলেন, এছাড়া নড়াইলে আরো ৪১টি প্রবেশন কেস পেন্ডিং আছে।
/ শুস
Pingback: চারঘাটে বেড়েই চলেছে করোনা রোগী, প্রশাসনের নজরদারী - দ্যা বাংলা ওয়াল