বরগুনার আমতলীতে অনাস্থা নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন
বরগুনার আমতলীতে উপজেলা চেয়ারম্যানের অনাস্থা নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
ঘুষ, দুর্নীতি, অনিয়মের অভিযোগ এনে বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে
অনাস্থা জানানো নিয়ে পাল্টাপাল্টি সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে বরগুনায়।
রবিবার(৩০ আগস্ট) বেলা ১১ টায় ও ১২টায় দুই পক্ষ বরগুনা প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এ সংবাদ সম্মেলন করেন উভয়পক্ষের কর্মী সমর্থকরা।
প্রথমে আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকান সংবাদ সম্মেলন করে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করেন।
একই সাথে তিনি অনাস্থাকারীদের দলে অনুপ্রবেশকারী হিসেবে আখ্যায়িত করেন।
এসময় বরগুনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মনিরুল ইসলাম, পাথরঘাটা উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম কবির,
বামনা উপজেলা চেয়ারম্যান সাইতুল ইসলাম লিটু, তালতলী উপজেলা চেয়ারম্যান রেজবি উল কবীর জমাদ্দার ও
বেতাগীর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মাকসুদুর রহমান ফোরকান উপস্থিত ছিলেন।
রাণীনগরে নির্ধারিত সময়ে ধান সংগ্রহ ৩২ মেট্রিক টন
এর পরপরই একই স্থানে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের ঘুষ দুর্নীতি ও অনিয়মের অভিযোগ এনে অনাস্থা প্রস্তাবের যৌক্তিকতা তুলে ধরে
সংবাদ সম্মেলন করেন আমতলী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান মজিবুর রহমান, আমতলী সদর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মোতাহার মৃধা,
গুলিশাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান অ্যাড. নুরুল হক, কুকুয়া ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বোরহান উদ্দীন তালুকদার,

আঠারগাছিয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হারুন অর রশিদসহ স্থানীয় আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ।
এসময় তারা অভিযোগ করেন, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় ক্ষমতার অপব্যবহার করে অনিয়মের আশ্রয় নিয়েছেন।
একই সাথে তিনি টিআর, কাবিখাসহ সরকারি বরাদ্ধ থেকে পার্সেন্টিজ গ্রহন করেন বলেও উল্লেখ করেন তারা।
খালেদা জিয়াকে চিকিৎসার জন্য কারাগারে বাইরে রাখতে
সেই সাথে তিনি ২০০১ সালের পর থেকে প্রত্যেকটা জাতীয় নির্বাচনে আওয়ামী বিরোধী শক্তির হয়ে কাজ করেন বলেও জানান তারা।
সংবাদ সম্মেলনে গোলাম সরোয়ার ফোরকান অভিযোগ করেন, যারা আমাকে অনাস্থ দিয়েছে তারা এক সময়ে বিএনপির রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলো।
দলে অনুপ্রবেশ করে অন্য অনুপ্রবেশকারীদের সংগে নিয়ে পুরনো ত্যাগী নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে রেখেছেন।
তারা দলীয় নেতৃত্বকে নিজেদের আয়ত্বে নিয়ে লুটপাটের রাজত্ব কায়েম করছে।
তারাই আমার জনপ্রিয়তায় ইর্ষান্বিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব দিয়েছে।
অন্যদিকে অনাস্থ প্রস্তাবের পক্ষে আমতলী সদর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান মোতাহার হোসেন মৃধা বলেন,
বরগুনার আমতলীতে অনাস্থা নিয়ে তিনি বলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান বিভিন্ন সময় পরিষদের সদস্যদের নিটক থেকেও উৎকোচ গ্রহন করেছেন।
এছাড়াও তিনি দলীয় নেতাকর্মীদের কোনঠাসা করে নিজের মদদ পুষ্ট বিএনপি জামায়াত কর্মীদের প্রতিষ্ঠিত করেছেন।
তিনি আরো বলেন, ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু নিহতের পরে উপজেলা চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকানের বাবা এলাকায় মিষ্টি বিতরণ করেছিলো।
প্রসঙ্গত, ১৭ আগস্ট উপজেলা পরিষদের মাসিক সমন্বয় সভায় বরগুনার আমতলী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান গোলাম সরোয়ার ফোরকানের বিরুদ্ধে
ঘুষ, দুর্নীতি ও অনিয়মসহ ১০ দফা অভিযোগ বরিশাল বিভাগীয় কমিশনার বরাবরে পৌর মেয়র, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান ও
উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান স্বাক্ষরিত এ অনাস্থা প্রস্তাব দেওয়া হয়।
Pingback: পাবনা ৪ আসনের উপনির্বাচনে আ: লীগের দলীয় মনোনয়ন - দ্যা বাংলা ওয়াল