সোনালী আঁশের উপযুক্ত দাম পেয়ে কৃষক পরিবারে বইছে খুশি
মৌসুমের শুরুতেই সোনালী আঁশের উপযুক্ত দাম পাওয়ায় পাট চাষীরা বেজায় খুশি। এতে যশোরের শার্শার কৃষক পরিবারে বইছে আনন্দ।
সব শঙ্কা কাটিয়ে এবার হাসি ফুটেছে পাট চাষীর মুখে।
কৃষকরা বলছেন, বর্তমানে বাজারে প্রতিমণ পাট বিক্রি হচ্ছে দুই হাজার ১০০ টাকা থেকে দুই হাজার ৫০০ টাকা দরে।
অবৈধ অনুপ্রবেশ : শার্শা সীমান্তে আটক-৫
এতে প্রতি বিঘায় শুধু পাট বিক্রি করেই কৃষক লাভবান হচ্ছেন ১৩ থেকে ১৭ হাজার টাকা।
সেই সঙ্গে পাটখড়ির দাম যুক্ত করলে প্রতিবিঘায় এখন কৃষকের লাভ হচ্ছে ১৮ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকা।
বেসরকারি পাটকলগুলো এ অঞ্চলের পাটের একমাত্র ক্রেতা। কৃষকরা বলছেন, সরকারি পাটকল চালু থাকলে দাম আরও বাড়তো।
শার্শা উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সৌতম কুমার শীল বলেন, এবার উপজেলায় লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি জমিতে পাট চাষ হয়েছে।
শার্শায় পাট চাষের জন্য নির্ধারিত লক্ষ্যমাত্রা দুই হাজার ৬০০ হেক্টর জমির বিপরীতে চাষ হয়েছে ৫ হাজার ৬০০ হেক্টরে।
যা থেকে পাট উৎপাদন হয়েছে ১২ হাজার ৮৮০ মেট্রিক টন। গত বছর পাটের উপযুক্ত দাম পাওয়ায় এ মৌসুমে কৃষকরা পাটের আবাদ বেশি করেছে।
শ্রীপুরের বরমীতে ধর্ষণের প্রতিবাদে মানববন্ধন
গত কয়েক বছর পাটের দাম না পাওয়ার কারনে কৃষকরা আগ্রহ হারিয়ে ফেলায় সে সময় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলার সামলাগাছি গ্রামের পাটচাষী মোহাম্মদ আলি মিলন বলেন, গেল বছরের চেয়ে এবার ভাল দামে পাট বিক্রি করিছি।
মোটামুটি ভাল পাট দুই হাজার থেকে দুই হাজার ৩০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। যা গেলবারের তুলনায় ৫০০-৬০০ টাকা বেশি।
এ বছর ভাল দাম পাচ্ছি তার জন্য ভাল লাগছে। পাটের সুদিন ফিরে এয়েছে।
নাভারন বাজারের পাট ব্যবসায়ী আবুজার বলেন, নতুন ওঠা পাট আমরা বিভিন্ন দামে কিনিছি।
ধূসর-কালো রঙের পাট ১৮০০-২০০০ টাকা, সোনালি রঙের পাট ২১০০-২৩০০ টাকা পর্যন্ত কৃষকের কাছ থেকে আমরা কিনছি।
নড়াইলে জাতীয় ভিটামিন “এ” প্লাস ক্যাম্পেইন-২০ উদ্বোধন
এবার পাটের দাম ভাল জানিয়ে তিনি জানান, গতবারের তুলনায় এবার পাটের দাম ভাল হওয়ায় কৃষকও খুশি।
তবে কিছুদিনের মধ্যে পাটের দাম আরও বাড়তে পারে।
বারোপোতা গ্রামের পাটচাষী আব্দুল মোমিন বলেন, পাটের পাশাপাশি পাটকাঠিরও এবার দাম ভাল।
দেড় বিঘা জমিতে আবাদ করে ১২ মণ পাট পাইছি। সব মিলিয়ে খরচ হয়েছে ১০ হাজার টাকার মতো।
শুধু পাটকাঠি বিক্রি করিছি নয় হাজার টাকা। খরচ কম হইছে। দাম ভাল পাচ্ছি। এবারের পাটের দামে আমরা খুশি।
বাগআচড়া বাজারে পাট বিক্রি করতে আসা কৃষক মোজাম গাজি বলেন, এবার দুই বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করে ২৫ মণ ফলন পাইছি।
প্রতিমণ পাট বিক্রি করিছি ২৪শ টাকা দরে। এতে বেশ ভাল লাভ হয়েছে।
মাদক সেবনের কুফল ও রোধকল্পে করনীয় কর্মশালার
সরকারি পাটগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হতাশ হয়েলাম। কিন্তু বাজারে পাটের ভালো দাম পেয়ে সেই হতাশা কেটে গেছে।
উপজেলার গাতিপাড়া গ্রামের আয়ুব হোসেন এবার তিন বিঘা জমিতে পাটের আবাদ করেছিলেন।
সোনালী আঁশের উপযুক্ত ফলন পেয়েছেন বিঘায় ১০-১১ মণ করে। ২০ দিন আগে পাট বেচেলাম ১৯শ টাকা মণ। শুক্রবার বেচলাম ২৫শ টাকা মণ।
জামতলা বাজারের আড়তদার লাল্টু গাজি বলেন, বাজারে গত এক মাসের ব্যবধানে পাটের দাম মণে এক হাজার টাকা বেড়েছে।
আগে ১৮-১৯শ টাকা মণ বিক্রি হলেও এখন বিক্রি হচ্ছে মানভেদে ২ হাজার ৪শ টাকা মণ। বেসরকারি পাটকলগুলোতে আমরা পাট বিক্রি করে থাকি।
অনেক সময় তারা টাকা আটকে রাখে, এতে নগদ টাকা সংকটে পড়তে হয় তাদের।
ফাঁসির রায়ে বরগুনা জেলা ও দায়রা জজের পর্যবেক্ষণ
আকিজ পাটকল, আহাদ পাটকল, আফিল উইভিং জুটমিলসহ খুলনাঞ্চলের বেসরকারি জুটমিলগুলো স্থানীয় বাজার থেকে ফড়িয়া এবং
ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীদের মাধ্যমে সারা বছরের পাট সংগ্রহ করে থাকেন। আফিল গ্রæপের যশোরে আফিল উইভিং জুট মিলের ৪টি ইউনিট রয়েছে।
গ্রæপের পরিচালক মাহবুব আলম লাভলু বলেন, আমরা প্রতিবছর যশোর ও ফরিদপুর জেলা থেকে পাট সংগ্রহ করে থাকি।
এখানকার উৎপাদিত পাটের মান ভালো। এবারও আমরা বিপুল পরিমাণ পাট কিনছি।
নড়াইলের কালিয়ায় সাপের কামড়ে একজনের মৃত্যু
যশোর আঞ্চলিক কৃষি অফিসের উপ পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) বীরেন্দ্র নাথ মজুমদার বলেন, যশোরে এবার পাটের ভাল ফলন হয়েছে।
কৃষক তার ক্ষেতের পাট বিক্রি করা শুরু করেছেন। দাম ভালো পাওয়ায় তারা দারুন খুশি। আশা করছি আগামীতে আবাদ বাড়বে।
Pingback: ভারত থেকে আসা যাত্রীদের শুকনা খাবার হাইজিন কিট বিতরন - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: সাতক্ষীরায় ফেনসিডিল সহ স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আটক - দ্যা বাংলা ওয়াল