হবিগঞ্জের সেই ভূয়া ডাক্তার জীবনেও কলেজে যাননি
হবিগঞ্জের হাসপাতালের আটক সেই ভূয়া ডাক্তার জীবনেও কলেজে যাননি,
শহরের শায়েস্তানগর এলাকায় ৬তলা আলিশান ভবনে গড়ে তোলা হয়েছে মুন জেনারেল হাসপাতাল।
ঝকঝকে ডেকোরেশন আর বড় বড় সাইনবোর্ডে লেখা ঢাকা থেকে আসা বড় বড় অধ্যাপকের নাম।
ফলে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের লাইন বেধে যায় সেখানে।
হবিগঞ্জের মাধবপুরে অবৈধ বালু উত্তোলন: ব্রীজ ঝুঁকিপূর্ণ
বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত দম ফেলার ফুসরত নেই সেখানে।
কিন্তু শহরের মধ্যস্থানে অবস্থিত এই হাসপাতালেই রোগীদেরকে চিকিৎসা দিচ্ছেন মাসুদ রানা নামে এক ভূয়া চিকিৎসক।
জীবনে কলেজে লেখাপড়া করতে না পারলেও ভিজিটিং কার্ডে লিখেন মেডিসিন, শিশু, হাপানী, কিডনী, হার্টসহ সব বিষয়ে পারদর্শী।
লাইন বেধে রোগী আসে তার কাছে। প্রত্যেক রোগীকেই বিভিন্ন পরীক্ষা করার পরামর্শ দেয়ায় হাসপাতালেরও আয় বেড়ে যায় তার মাধ্যমে।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি ওই চিকিৎসকের। বুধবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সেখানে ভ্রাম্যমান আদালত অভিযান পরিচালনা করে তাকে আটক করা হয়।
এমবিবিএস সনদ ও মেডিক্যাল এন্ড ডেন্টাল কাউন্সিলের রেজিস্ট্রেশন দেখাতে না পারায ভ্রাম্যমান আদালত তাকে এক বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করেছে।
হবিগঞ্জের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা এই অভিযান পরিচালনা করেন।
তার সাথে ছিলেন, হবিগঞ্জ আধুনিক জেলা সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ মোমিন উদ্দিন চৌধুরী।
মৌলিক মূল্যায়নে প্রথম তালার ভাইস চেয়ারম্যান পাঁপড়ি
হবিগঞ্জের সেই ভূয়া ডাক্তার মাসুদ রানা নিলফামারীর সৈয়দপুর উপজেলার হাতিখানা গ্রামের আব্দুল হান্নানে ছেলে।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শামসুদ্দিন মোঃ রেজা জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এই অভিযান পরিচালনা করা হয়।
ভূয়া ডাক্তারের কাগজপত্র পর্যবেক্ষণে সে তার প্রতারণার সত্যতা পাওয়া যায়।
পরে মাসুদ রানা নিজেকে ভূয়া ডাক্তার হিসাবে স্বীকার করে। তাকে ১ বছরের বিনাশ্রম কারাদন্ড প্রদান করে হবিগঞ্জ কারাগারে প্রেরণ করা হয়েছে।
Pingback: পঞ্চগড়ে তালমাসহ সকল নদী দখল মুক্ত করতে মানববন্ধন - দ্যা বাংলা ওয়াল
Pingback: ব্যঙ্গচিত্র প্রদর্শনের প্রতিবাদে নড়াইলে ওলামাদের প্রতিবাদ - দ্যা বাংলা ওয়াল