হবিগঞ্জে রিক্সা চালককে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিল

হবিগঞ্জে বাহুবলে হাফিজুর রহমান (১৪) নামের এক রিক্সা চালককে পিটিয়ে হাত ভেঙ্গে দিয়েছে পুলিশ।

মঙ্গলবার (০৮ ডিসেম্বর) বিকেল সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ঢাকা সিলেট মহাসড়কের বাগান বাড়ি নামক স্থানে এ ঘটনাটি ঘটে।

আহতরিক্সা চালক কিশোর হাফিজুর রহমান উপজেলার লামাতাশি ইউনিয়নের তড়লী গ্রামের আব্দুস ছামাদের ছেলে।

স্থানীয় লোকজন পুলিশের কবল থেকে তাকে উদ্ধার করে বাহুবল হাসপাতালে নিয়ে সে ভর্তি করে।

বুধবার (০৯ ডিসেম্বর) বিকালে তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য হবিগঞ্জ সদর আধুনিক হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়।

ডাক্তার জানিয়েছে অতিরিক্ত আঘাতে তার হাত ভেঙ্গে গেছে।

নড়াইলে সাংস্কৃতিক জোট ও মুক্তিযোদ্ধাদের মানববন্ধন

আহত হাফিজের ভাই দিদার আলী জানায়, আমরা দুই ভাই, মা বাবা ৪টা বোন নিয়ে অনেক কষ্টে ডাল ভাত খেয়ে বেচে আছি ।

আমার ভাইটা বরুনা মাদ্রায় পড়ত, টাকার অভাবে পড়াতে পারি নাই।

প্রায় বছর খানেক আগে আমাদের অভাব দেখে ছোট ভাই হাফিজও পড়া বাদ দিয়ে রিক্সা চালানো শুরু করে। মা বাবা আর বোনদের মুখে হাসি ফোটানোর জন্য।

মঙ্গলবার বিকেলে একটি ট্রিপ আনতে সে বিশ্বরোড দিয়ে বাহুবল বাজারে যাওয়া শুরু করে।

দৌলতপুরের কাছে বাগান বাড়ির এলাকায় পৌঁছলে বিশ্বরোডের চেকিং পোষ্টে দায়িত্বরত পুলিশ তার রিক্সা আটক করে।

এক পর্যায়ে সে কেন রিক্সা নিয়ে বিশ্বরোডে উঠল এনিয়ে তাকে মারধোর করে।

তিনি কান্না জড়িত কণ্ঠে বলেন, তাকে এমনভাবে মারল যে আমার ভাইয়ের হাতটা ভেঙ্গে দিল। আমার ভাইটাকে পঙ্গু করে দিল।

নওগাঁয় ট্রাকের ধাক্কায় প্রাণ গেল বাবা-ছেলের

টাকার জন্য আমার ভাইটাকে চিকিৎসা করাতে পারছিনা। গতকাল (বুধবার) দুপুরে টেনু চেয়ারম্যান সাহেবের ভাই ফেরদৌস দুই হাজার টাকা দিয়েছে।

তার টাকা পেয়ে তারে নিয়ে বিকালে হবিগঞ্জ হাসপাতালে আসছি। আমার ভাইয়ের উপর এমন নির্যাতনের বিচার চান তিনি।

এদিকে লোকজন তার ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করে পুলিশের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করছেন।

তবে তিনি বলতে পারেননি, থানা পুলিশ, হাইওয়ে পুলিশ না ট্রাফিক পুলিশ হাফিজের উপর নির্যাতন করেছে।

হবিগঞ্জে রিক্সা চালককে বাহুবল মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই, আমি দেখতেছি।

/ মোঃ সেলিম উদ্দিন