শাহজাদপুরের বনগ্রামে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ
শাহজাদপুরের বনগ্রামে বিজয় দিবস উদযাপনকে ঘিরে প্রতিপক্ষের বাড়ীঘরে হামলা, ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ।
সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরের কায়েমপুর ইউনিয়নের বনগ্রাম উত্তরপাড়া গ্রামে মহান বিজয় দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে বলাকা সংঘের সভাপতি,
সেক্রেটারী দ্বন্দ্বে ৫টি বাড়ীতে অতর্কিত হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে।
সরে জমিনে ঘুরে জানা যায়, বনগ্রামের ঐতিহ্যবাহী বলাকা সংঘের উদ্দ্যোগে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও জাকজমকপূর্ণভাবে মহান বিজয় দিবস
উদযাপনের জন্য সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম অন্যান্য সদস্যদের নিয়ে সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে।
এতে স্বাস্থ্যবিধি লংঘনের অভিযোগ তুলে বিজয় দিবস উদযাপনে বাঁধা প্রদান করে ক্লাবের সভাপতি মজনু মিয়া ও তার সমর্থিত কয়েকজন সদস্য।
এর জের ধরেই উভয়পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডার সৃষ্টি হলে।
বেনাপোলে আন্তর্জাতিক মানের ‘নিত্যহাটে’র যাত্রা
প্রতিপক্ষের বাড়ীতে হামলা ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এ ব্যাপারে ক্লাবের সভাপতি মজনু মিয়া সাংবাদিকদের জানান,
স্বাস্থ্য বিধি লংঘন করে বিজয় দিবস উদযাপন করার ব্যাপারে আমি আপত্তি জানালে সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম ও আবু হানিফের নেতৃত্বে
১৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার রাত ৮টার দিকে ২ থেকে ৩শ জন লাঠি, সোটা, অস্ত্র,সস্ত্র নিয়ে তার বাড়ীতে হামলা চালায়।
এতে ঘর,দরজা,টিনের বেড়া, এমনকি ঘরের আসবাবপত্র ভাংচুর, নগদ ২ লক্ষ টাকা লুটপাট করে নিয়ে যায়।
এ ছাড়াও কায়েমপুর ইউনিয়ন ছাত্রলীগ সভাপতি আরিফুল ইসলাম বিপুলের বাড়ীতে হামলা চালিয়ে পালসার মটর সাইকেল,
ডেষ্কটপ কম্পিউটার, ঘরের আসবাবপত্র, টিভি, ভাংচুর করে নগদ দেড় লক্ষ টাকা নিয়ে যায়। এঘটনায় কালু আকন্দের বাড়ী, আনিছ আকন্দ ও
মাসুদ আকন্দের বাড়ী ব্যাপক ভাংচুর করা হয়।
ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সভাপতি সভাপতি আরিফুর ইসলাম বিপুল জানান, ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক বিএনপির লোক।
বিজয় দিবসের দিনে তার বাড়ীতে হামলা ন্যাক্কারজনক ঘটনা। এ বিষয়ে শাহজাদপুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং
শাহজাদপুরের বনগ্রামে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণ করার আশ্বাস দিয়েছেন। মামলা করার প্রস্তুতি চলছেও বলে জানান বিপুল।
বেনাপোল মাতিয়ে গেলেন নকুল কুমার
এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে, অভিযুক্ত বলাকা ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান,
ক্লাবের সভাপতি মজনু মিয়া, দুর্ণিতীবাজ ও দাম্ভিক ব্যক্তি। ফলে তিনি ক্লাবের সকল নির্বাচিত কমিটি ও সাধারণ সদস্যদের অগ্রাহ্য করে চলেন।
তিনি দীর্ঘদিন ধরেই শুধু ক্লাব থেকে নয়, বরং গ্রামের সাধারণ মানুষ থেকে বিছিন্ন হয়ে আছেন।
তার অপকর্ম ঢাকতে নিজেদের বাড়ী নিজেরাই ভেঙ্গে বাড়ী,ঘর ভাংচুরের নাটক সাজিয়েছেন।
এই ভাংচুরের ঘটনায় নজরুল ইসলাম ও তার লোকজন জড়িত নয় বলে অভিযোগ অস্বীকার করেন।