বেনাপোলে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা
বেনাপোলে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে শ্বাসরোধ করে হত্যা।
নেশার টাকা না পেয়ে ৮ মাসের অন্তঃসত্বা রুমা খাতুন নামে এক গৃহবধুকে শ্বাস রোধ করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে।
শনিবার দিন রাতে বেনাপোল পোর্ট থানার শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামে নিহতের শ^শুর বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় পুলিশ কাউকে আটক করেনি।
রুমা খাতুন বেনাপোল পোর্ট থানার শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামের সাফিউল রহমানের ছেলে আরিফুল ইসলাম টুটুলের স্ত্রী ও
একই থানার ইছাপুর গ্রামের আব্দুল খালেকের মেয়ে।
স্থানীয়রা বলেন, আরিফুল একজন মাদক ব্যবসায়ী ও মাদকসাক্ত ছিল।
বেনাপোলে অন্তঃসত্বা স্ত্রীকে নেশার টাকা না পেয়ে রাতে তাকে কোন এক সময় শ্বাসরোধ করে গলায় রশি দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে।
কালিগঞ্জে ভারতীয় গলদার রেনুসহ আটক-৩
রুমা আট মাসের অন্তঃসত্বা ছিল। রুমার চাচাতো ভাই শামিম হোসেন বলেন, যেখানে লাশ ঝুলানো ছিল সেখানকার উচ্চতা ছিল মাত্র ৫ ফুট।
রুমার পা মাটিতে বেধে ছিলো। এতে ধারনা করা হয় তারা রুমাকে হত্যা করে সেখানে ঝুলিয়ে রেখেছিলো।
মাঝে মধ্যে তাদের স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে ঝগড়া হতো। আমরা আমার বোনকে বাড়ি নিয়ে যেতাম।
তখন আরিফুল রুমাকে হুমকি দিত তুই যদি বাড়ি না আসিস তোর পিতাকে কুপিয়ে হত্যা করব।
এই ভয়ে রুমা তার স্বামীর বাড়ি আবার ফিরে যেত। তিনি আরো বলেন,
থানার সামনে শিবনাথপুর বারোপোতা গ্রামের প্রভাবশালী মাদক ব্যবসায়ী মোমিন মেম্বার ও
তার ভাই আমাদের হুমকি দেয়, যাতে আমরা কোন মামলা না করি।
তারা বলে বেশী বাড়াবাড়ি করবি না-বাড়ি চলে যা।
করোনা ঝুঁকির মধ্যেই কাজ করে যাচ্ছে অকুতোভয় মিথি
ইউপি সদস্য মোমিন বলেন, মেয়েটি কি জন্যে গলায় দড়ি দিয়ে আতœহত্যা করেছে তার কোন তথ্য পাওয়া যায়নি।
তাদের স্বামী স্ত্রীর মধ্যে খুব মিল ছিল। সুরহাতাল রিপোর্টে সব পাওয়া যাবে। তবে মাঝে মধ্যে ঝগড়া বিবাদ হতো আমি তা মিটিয়ে দিতাম।
বেনাপোল পোর্ট থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মামুন খান জানান, প্রাথমিক ভাবে ধারণা করা হচ্ছে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে।
লাশটি উদ্ধার করে যশোর জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
ময়না তদন্তের রিপোর্ট আসলে বুঝা যাবে এটা হত্যা না আতœহত্যা।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।




Pingback: শ্যামনগরে পানিতে ভাসছিল নারীর মরদেহ - দ্যা বাংলা ওয়াল