মিষ্টি আলুর গুণেই ঝরতে পারে শরীরের বাড়তি মেদ
মিষ্টি আলুর গুণেই ঝরতে পারে ছিপছিপে শরীরের লোভ আর ডায়াবিটিসের চোখরাঙানি- মূলত এই দুইয়ের দাপটেই পাত থেকে বাদ দিতে হয়েছে আলু।
তরিতরকারি থেকে শুরু করে মাছ-মাংস, আলু বিদায় নিয়েছে ফিটনেস ফ্রিকদের পাত থেকে।
তবে পুষ্টিবিদদের মতে, আলুকে বাদ দিলেও রাঙা আলুকে (মিষ্টি আলু) অবহেলা করাটা একেবারেই বুদ্ধিমত্তার পরিচয় হবে না।
‘আমেরিকান ওবেসিটি অ্যাসোসিয়েশন’ -এর মতে, রাঙা আলুর গ্লাইসেমিক ইনডেক্স (জিআই) এতটাই কম যে
এর থেকে তৈরি হওয়া গ্লুকোজ দ্রুত রক্তে মিশে যেতে পারে।
এ ছাড়াও রাঙা আলুর বেশ কিছু গুণের কথাও জানিয়েছেন তারা। পুষ্টিবিদরাও তাদের সঙ্গে সহমত।
তাঁদের কথায়, ‘‘আলুও যে খুব ক্ষতিকারক তা কিন্তু নয়, বরং ঠিক উপায়ে রান্না করলে,
অর্থাৎ রান্নার সময় আলু সেদ্ধ হওয়ার পর পানিটা ফেলে দিলে সেই আলুতে খুব একটা ক্ষতি হয় না।
তবু বেশি মাত্রায় ডায়াবেটিক ও ওবেসিটির রোগীদের আলু থেকে বারণ করা হয় এর জিআই বেশি বলে।
অনিয়মিত পিরিয়ড? রইল ঘরোয়া সমাধান
এই সব্জি থেকে তৈরি গ্লুকোজ রক্তে মেশে না চট করে। কিন্তু রাঙা আলুর বৈশিষ্ট্য আলুর একেবারে বিপরীত।
তাই ডায়েটে রাঙা আলু না থাকাটা ঠিক সিদ্ধান্ত নয়। বরং এটা সুস্থ ভাবে ওজন কমাতে সাহায্য করে।’’
কী কী কারণে পাতে রাঙা আলু রাখতেই হবে তার বেশ কিছু কারণও দর্শিয়েছে ‘আমেরিকান ওবেসিটি অ্যাসোসিয়েশন’।
পুষ্টিবিদরাও দিলেন তেমনই নিদান। এতে ভিটামিন এ, প্রয়োজনীয় খনিজ ও ফাইটোনিউট্রিয়েন্টের মতো দরকারি উপাদান মজুত থাকে।
মূলত শীতে পাওয়া যায় এই সব্জি। তাই শীতকাল জুড়েই কেন পাতে রাখতে হবে তা, রইল তারই কারণ।
ফাইবার:
রাঙা আলুতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার রয়েছে। যা পাকস্থলীতে জেল জাতীয় আঠালো পদার্থ তৈরি করে।
এতে পেট ভরে তাড়াতাড়ি, আজেবাজে খাওয়ার প্রবণতা অনেকটাই কমে আসে। ফলে ওজন কমানোয় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের সুযোগ পায়।
রাঙা আলু মেটাবলিজম বাড়িয়ে তুলতে সক্ষম, সহজপাচ্য হওয়ায় হজমের সমস্যাতেও পড়তে হয় না।
আজিকে তোমার মধুর মুরতী.. হেরিনু শারদ প্রভাতে
উপকারী কার্বস:
কার্বোহাইড্রেট মানেই যে তা অপকারী, তা কিন্তু নয়। বরং এনার্জি বাড়াতে এই সব্জি কাজে আসে।
শরীর গঠনের প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেটের অন্যতম উৎস এই রাঙা আলু। প্রতি ৩০০ গ্রাম রাঙা আলু সেদ্ধ থেকে ৫৮ গ্রাম মতো কার্বোহাইড্রেট পাওয়া যায়।
নো কার্বস ডায়েটে অভ্যস্তরাও একে সহজেই পাতে নিতে পারেন। কারণ, এর কার্বোহাইড্রেট দ্রুত রক্তে মিশে শক্তি উৎপন্ন করতে পারে।
পানি শোষণকারী:
মেটাবলিজম বাড়ানোর পাশাপাশি শরীরের পানিকে শোষণ করে নিতে এই সব্জি ওস্তাদ।
পানির সঙ্গেই শরীরের টক্সিনকে দূর করতেও বিশেষ কার্যকরী। তাই জমে থাকা পানির প্রভাবে শরীর ফুলে গেলে তার হাত থেকে অনেকটাই নিষ্কৃতি দেয় এই সব্জি।
শরীরের পিএইচ ফ্যাক্টরে ভারসাম্য রাখতেও সাহায্য করে এটি।
অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট:
মিষ্টি আলুর গুণেই রাঙা আলুতে জিঙ্ক সুপারঅক্সাইড, স্পোরামিন, ক্যাটালেস ধরনের অ্যান্টিঅক্সাইডের পরিমাণ বেশি থাকে বলে এগুলি শরীরের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে।

প্রতিনিধির তালিকা দেখতে ভিজিট করুন shopnotelevision.wix.com/reporters সাইটে।



