আজ কঞ্জুস নাটকের ৭২০তম প্রদর্শনী
০১ অক্টোবর ২০১৯ মঙ্গলবার সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে বাংলাদেশের সর্বাধিক মঞ্চায়িত মলিয়েরের নাটক কঞ্জুস এর ৭২০তম প্রদর্শনী মঞ্চস্থ হবে। তারিক আনাম খান এর রূপান্তরে নাটকটির নির্দেশনা দিয়েছেন ঋত্বিক নাট্যপ্রাণ লিয়াকত আলী লাকী।
নাটকের কাহিনি আবর্তিত হয়েছে হায়দার নামক এক ব্যক্তিকে ঘিরে। ব্যক্তিগত জীবনে যে একজন অত্যন্ত কৃপণ, সুদখোর ও লম্পট। এক ছেলে ও এক মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। সে এতই কৃপণ যে ছেলে-মেয়ে ও চাকরকে ভাল খেতে পরতে দেয় না- পাছে তার টাকা শেষ হয়ে যায়। সুদের ব্যবসায় অর্জিত অর্থ সে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখে, যদি চোর-ডাকাতে কিংবা ছেলে-মেয়েরা নিয়ে যায়।
পৃথিবীর কাউকে সে বিশ্বাস করে না। হায়দার-এর মেয়ে লাইলী যাকে ভালবাসে সে এক অভিজাত বংশের হারিয়ে যাওয়া ছেলে কাযিম। লাইলীকে পাবার আশায় কাযিম এসে চাকরের কাজ নেয় হায়দারের বাসায়। সে বিশ্বাসযোগ্যতাও অর্জন করে হায়দারের।
এদিকে হায়দারের ছেলে বদিউজ্জামান ভালবাসে মর্জিনা নামে এক মেয়েকে। কিন্তু হায়দার তা জানত না। একদিন মর্জিনাকে দেখে হায়দারের ভিমরতি ধরে। সে পয়গাম পাঠায় মর্জিনাকে বিয়ে করার জন্য।

অপরদিকে যৌতুকের ভয়ে হায়দার এক বুড়োর সঙ্গে তার মেয়ের বিয়ে ঠিক করে। মেয়ে তার তীব্র প্রতিবাদ করে। কিন্তু বৃদ্ধ তার সিদ্ধান্তে অটল থাকে। এক সময় হায়দারের ছেলে জানতে পারে যে, তার প্রেমিকা মর্জিনাকে তার পিতা বিয়ে করতে যাচ্ছে।
শুরু হয় পিতা-ছেলেতে দ্বন্দ। এ দ্বন্দ এবং পারস্পরিক ঘটনায় নাটকের কাহিনি জমে উঠে। এ সময় হায়দারের ছেলে এবং চাকর লাল মিয়া দু’জনে বাগানে লুকানো টাকার কলস নিয়ে পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় কঞ্জুস হায়দার দিশেহারা হয়ে যায়। পুলিশ ডাকে। পুলিশী তদন্তের এক পর্যায়ে ছেলে এবং চাকর টাকার কলস নিয়ে আসে। ছেলে শর্ত দেয় মর্জিনাকে ফিরিয়ে দিলে সে টাকার কলস ফিরিয়ে দিবে। হায়দার ছেলের শর্তে রাজী হয়ে যায়।
সর্বশেষে মর্জিনা এবং কাযিমের পিতৃ-মাতৃ পরিচয়ের মধ্য দিয়ে এবং হায়দারের ছেলে-মেয়ের বিয়ের মধ্য দিয়ে নাটকের পরিসমাপ্তি ঘটে।
Pingback: অপপ্রচারে কান দেবেন না : প্রধানমন্ত্রী - দ্যা বাংলা ওয়াল