বিশ্ব বক্সিংয়ের সেমিফাইনালে মেরি
‘ম্যাগনিফিসিয়েন্ট মেরি’। ছাপিয়ে গেলেন নিজেই নিজেকে। বিশ্ব মহিলা বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে। সেমিফাইনালে পৌঁছে নিশ্চিত করলেন অষ্টম পদক। বৃহস্পতিবার ৫১ কেজি বিভাগের কোয়ার্টার ফাইনালে মেরি কম ৫–০ ব্যবধানে হারান কলম্বিয়ার ভ্যালেন্সিয়া ভিক্টোরিয়াকে।
এর আগে বিশ্ব বক্সিংয়ে ৬টা সোনা এবং ১টি রুপোর পদক ছিল মেরির। এতদিন সেটাই ছিল বিশ্ব মহিলা বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে সেরা পারফরমেন্স। অষ্টম পদক নিশ্চিত করে মেরি নিজেকেই ছাপিয়ে গেলেন। ৬ বারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন মেরি এবার প্রথম রাউন্ডে বাই পেয়েছিলেন।
বয়স যে নিছক সংখ্যা আরও একবার সে কথাই প্রমাণ করলেন ৩৬–এর মেরি। সেই সঙ্গে বুঝিয়ে দিলেন বিশ্ব বক্সিং চ্যাম্পিয়নশিপে প্রথমবার ৫১ কেজি বিভাগে নামলেও, যে কোনও চ্যালেঞ্জের জন্য তিনি তৈরি। সাফল্যের খিদে এখনও যে অসম্ভব বোঝা গিয়েছে মেরির কথায়, ‘পদক নিশ্চিত করে ভাল লাগছে। তবে ফাইনালে পৌঁছে আরও ভাল কিছু করার আশায় রয়েছি। কোয়ার্টার ফাইনালে ঠিকঠাক লড়াই করেছি। তবে সেমিফাইনালে আরও উন্নতি করতে হবে।’
শনিবার সেমিফাইনালের লড়াই তুরস্কের বুসেনাজ সাকিরোগ্লুর বিরুদ্ধে। বর্তমানে যিনি ইউরোপ চ্যাম্পিয়ন এবং ইউরোপীয় গেমসে সোনা জয়ী। কোয়ার্টার ফাইনালে সাকিরোগ্লু হারিয়েছেন চিনে কাই জংজুকে।
কোয়ার্টার ফাইনালের লড়াই নিয়ে মেরিকে প্রশ্ন করতে বলেছেন, ‘খুব একটা বেগ পেতে হয়নি। প্রি–কোয়ার্টারের থেকে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচটা সহজ ছিল। ও আক্রমণ করতে চাইছিল। তবে জানতাম, আমার সুযোগ আসবেই। প্রি–কোয়ার্টারে থাইল্যান্ডের জুটামাস অনেক বেশি শক্ত প্রতিপক্ষ ছিল। ওকে হারিয়ে এগোনোটা কষ্টের ছিল। ক্লান্তিও গ্রাস করেছিল।’
ফাইনালের প্রতিপক্ষকে নিয়ে কী বলবেন? মেরির জবাব, ‘এর আগে কখনও ওর বিরুদ্ধে লড়াই করিনি। কিন্তু প্রি–কোয়ার্টার আর কোয়ার্টারে যাদের বিরুদ্ধে লড়লাম, তাদের সঙ্গেও তো আগে খেলিনি। ফলে সাকিরোগ্লুকে নিয়ে চিন্তিত নই। নিজের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করব। ব্যস। রেজাল্ট কী হবে, সেটা আগাম বলতে পারি না। আমার হাতেও নেই।’ শেষে মেরি বলেন, ‘জানি আমাকে ঘিরে সবার প্রত্যাশা অনেক। কথা দিচ্ছি সেরাটাই দেব। অর্ধেক কাজ পূরণ হয়েছে।
সেমিফাইনালে কী রেজাল্ট হবে এখনই বলতে পারব না। তবে নিজের ওপর ভরসা আছে। সোনা জেতার ক্ষমতাও আছে। আশা করি, সোনা জিততে পারব। গোটা দেশের সমর্থন আমার দিকে রয়েছে। এত সমর্থন, এত ভালবাসা পাওয়ার পর না জেতার কোনও কারণ দেখছি না।’