দায়িত্ব নিলেন দাদা, ভারতীয় ক্রিকেটের সিংহাসনে বাংলার মহারাজ
এই ফ্রেমটার অপেক্ষাতেই যেন ছিলেন তাঁর ভক্তরা। মুম্বইতে বিসিসিআইয়ের সদর দফতরের সেন্ট্রাল কনফারেন্স রুমে সরকারি ভাবে বোর্ড সভাপতির দায়িত্ব নিলেন প্রাক্তন ভারত অধিনায়ক সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়। একইসঙ্গে বোর্ডের সচিব পদে দায়িত্ব নিলেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের ছেলে জয় শাহ এবং কোষাধ্যক্ষ পদে দায়িত্ব নিলেন প্রাক্তন বোর্ড সভাপতি অনুরাগ ঠাকুরের ভাই অরুণ ধুমাল।
যদিও ২০২০-র সেপ্টেম্বর পর্যন্তই তিনি এই দায়িত্ব সামলাতে পারবেন সৌরভ। কারণ তিনি এই দায়িত্ব নেওয়ার আগে ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব বেঙ্গল (সিএবি)র সভাপতি ছিলেন। স্বাভাবিকভাবেই তাঁকে লোধা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী কুলিং পিরিয়ডে যেতে হবে।
সুপ্রিম কোর্ট নিযুক্ত প্রশাসনিক কমিটির দায়িত্ব এ বার শেষ হচ্ছে। এই ৩৩ মাসে একাধিক বিষয়ে বোর্ডের সঙ্গে সংঘাত হয়েছে বিনোদ রাইয়ের নেতৃত্বাধীন এই কমিটির। কিন্তু এ বার থেকে ক্ষমতা পুরোপুরি বিসিসিআইয়ের হাতেই আসতে চলেছে। এই ক্ষমতা পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই দায়িত্বও বাড়বে সৌরভের।
আগামীকাল নতুন কমিটির প্রথম মিটিং। নির্বাচক কমিটির সঙ্গে বসে বাংলাদেশ সফরের জন্য দল নির্বাচন করা হবে। এই বৈঠকেই ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলির সঙ্গে দেখা হবে সৌরভের। তাঁদের মধ্যে কী আলোচনা হয় সে দিকে চোখ থাকবে সবার। এই বৈঠকেই আবার ভারতের কোচ রবি শাস্ত্রীর সঙ্গেও প্রেসিডেন্ট হওয়ার পর প্রথমবার দেখা হবে সৌরভের। দু’জনের রসায়নের দিকেও চোখ থাকবে সবার।
বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট হওয়ার পরেই সৌরভ বলেছিলেন বোর্ডের মধ্যে স্বচ্ছতা আনাই হবে তাঁর প্রথম কাজ। সেই লক্ষ্যে কী পদক্ষেপ তিনি নেন সে দিকেও নজর থাকবে সকলের। এ ছাড়াও প্রশাসনিক সৌরভের এক নতুন ইনিংস দেখার জন্য মুখিয়ে আছে সবাই। দাদা বলেছেন, তাঁদের প্রধান গুরুত্ব থাকবে ঘরোয়া ক্রিকেটে। বিরাটের সঙ্গে মিলে আরও ভালো দল তৈরি করবেন তাঁরা। জয় এবং অরুণকে ‘এফিসিয়েন্ট’ আখ্যা দিয়ে সৌরভ এও বলেছেন, “আমরা পারব।” আগামী বছর জুলাই মাস পর্যন্ত প্রেসিডেন্ট রয়েছেন সৌরভ। এই সময়ের মধ্যে ভারতীয় দলে কোনও বাঙালি ক্রিকেটার জায়গা পাচ্ছে কিনা সে দিকেও তাকিয়ে থাকবে বাংলার ক্রিকেট মহল।