অবশেষে আনুষ্ঠানিকভাবে বিভক্ত হলো জম্মু ও কাশ্মীর
ঘোষণাটা আগেই এসেছিল। বাকি ছিল শুধু আনুষ্ঠানিকতা। ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার সেই আনুষ্ঠানিকতাও সম্পন্ন হলো। আজ থেকে জম্মু ও কাশ্মীরের নতুন পরিচয় এটি একটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল। আর জম্মু ও কাশ্মীরের এতদিনকার অংশ লাদাখ আরেকটি কেন্দ্র শাসিত অঞ্চল।
এখন থেকে দুটি রাজ্যেরই অধিকাংশ সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতা থাকবে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের হাতে। জম্মু ও কাশ্মীরে একটি নির্বাচিত আইনসভা থাকবে। তবে লাদাখে তা থাকছে না, কেন্দ্রীয় সরকার সরাসরি তাদের নিয়ন্ত্রণ করবে। জম্মু ও কাশ্মীর থেকে ভারতের লোকসভায় প্রতিনিধিত্ব করার সুযোগ পাবেন পাঁচজন। আগে যে সংখ্যা ছিলো ছয়। অন্যদিকে লাদাখ থেকে লোকসভায় যাবেন একজন।
বৃহস্পতিবার শপথ নিয়েছেন জম্মু ও কাশ্মীর এবং লাদাখের দুই নবনিযুক্ত গভর্নর। জম্মু ও কাশ্মীরের গভর্নর হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন গিরিশচন্দ্র মুর্মু। তিনি নরেন্দ্র মোদি গুজরাটের মুখ্য মন্ত্রী থাকাকালীন রাজ্যের মুখ্য সচিব ছিলেন। অন্যদিকে লাদাখের গভর্নর হিসেবে কাজ করবেন সাবেক তথ্য কমিশনার রাধাকৃঞ্চ মাথুর।
এদিকে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বৃহস্পতিবার সকালে গুজরাটে এক সমাবেশে বক্তৃতা দান কালে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করে বলেন, এখন থেকে সত্যিকার অর্থেই ভারতের সাথে জম্মু ও কাশ্মীরের সম্পর্ক দৃশ্যমান হলো। নতুন মহাসড়ক, রেলপথ, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, হাসপাতাল নির্মাণের মাধ্যমে জম্মু ও কাশ্মীরের মানুষকে উন্নয়নের এক নতুন উচ্চতায় নিয়ে যাওয়া হবে।
উল্লেখ্য, চলতি বছরের ৫ আগস্ট ভারত সরকার একপাক্ষিকভাবে সংবিধানের ৩৭০ ধারা বাতিল করে জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা রদ করে। ফলে তখন থেকেই স্বায়ত্তশাসনের ক্ষমতা হারিয়ে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল হয়ে পড়ে এই জনপদ।
সূত্র: বিবিসি ও আনন্দবাজার।