মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত ৭ আসামি ও তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ
হোলি আর্টিজান হামলার দণ্ডপ্রাপ্ত ৭ আসামির বিরুদ্ধে যত অভিযোগ।
হোলি আর্টিজান হামলায় দণ্ডপ্রাপ্তরা পরিকল্পনায় অংশ নেয়া থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সংগ্রহ ও হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় সহায়তা করে।
১. দণ্ডপ্রাপ্তদের মধ্যে জঙ্গি জাহাঙ্গীর আলমের বাড়ি গাইবান্ধার সাঘাটা উপজেলার পশ্চিম রাঘবপুরে। ২০১৭ সালের ১৩ই জানুয়ারি তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। গুলশান হামলায় পরিকল্পনায় অংশ নেয়া থেকে শুরু করে প্রশিক্ষণ, অস্ত্র সংগ্রহ এবং হত্যাকাণ্ডে সক্রিয় সহায়তা করে জাহাঙ্গীর।
২. রাকিবুল হাসান রিগ্যানের বাড়ি বগুড়া সদর উপজেলার ইসলামপুর পশ্চিমপাড়ায়। রিগ্যান নব্য জেএমবির প্রশিক্ষক ছিলেন, অর্থ লেনদেনের দায়িত্বও ছিল তার। নিষিদ্ধ সংগঠনের পদ গ্রহণ করে অর্থ গ্রহণ, প্রশিক্ষণ দিয়ে হত্যাকাণ্ড সংঘটনে সহায়তা ও প্ররোচিত করে সে।
৩. আব্দুস সবুর খানের বাড়ি কুষ্টিয়ার কুমারখালীর সাদিপুর কাবলিপাড়ায়। ২০১৭ সালের ৮ই জুলাই গ্রেপ্তার হয় সে। গুলশান হামলায় জনবল, অস্ত্র ও গ্রেনেড সরবরাহ করে, হত্যাকাণ্ড সংগঠনে ভূমিকা রাখে সবুর ওরফে সোহেল।
৪. হাদিসুর রহমানের বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার কাদোয়া কয়রাপাড়া। ২০১৮ সালের ২১শে মার্চ বগুড়ার শিবগঞ্জ থেকে গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। গুলশান হামলাকারীদের ঝিনাইদহে মেস ভাড়া করে আশ্রয় ও প্রশিক্ষণ দেয়া, অর্থ লেনদেন, অস্ত্র-গ্রেনেড সরবরাহ করে হত্যাকাণ্ডে সহায়তা করে হাদিসুর।
৫. শরিফুল ইসলাম খালেদের বাড়ি রাজশাহীর বাগমারার শ্রীপুরের খামারপাড়ায়। ২০১৯ সালের ২৫শে জানুয়ারি চাঁপাইনবাবগঞ্জে গ্রেপ্তার হয়। হোলি আর্টিজান বেকারিতে হামলার পরিকল্পনাকারীদের একজন শরিফুল। গাইবান্ধার যমুনার চরে জঙ্গিদের প্রশিক্ষণ শিবির চালাতে তার ভূমিকা ছিল।
৬. আসলাম হোসেন সরদারের বাড়ি রাজশাহীর পবার নওহাটা মথুরায়। ২০১৭ সালের ২৮শে জুলাই গ্রেপ্তার করা হয় তাকে। হামলাকারীদের প্রশিক্ষকের কাছে পৌঁছে দেয়া এবং অস্ত্র ও প্রশিক্ষণ দেয়া, ঘটনাস্থল রেকি ও হামলা পরিকল্পনায় অংশ নিয়ে হত্যাকাণ্ড প্ররোচনা দেয় সে।
৭. মামুনুর রশিদ রিপনের বাড়ি বগুড়ার নন্দীগ্রামের শেখের মাড়িয়ায়। গাজীপুরের বোর্ডবাজার থেকে ২০১৯ সালের ২০শে জানুয়ারি গ্রেপ্তার হয় সে। গুলশান হামলায় পরিল্পনার বৈঠকে অংশ নেয়ার পাশাপাশি অস্ত্র সরবরাহ করে রিপন।