শুরু হলো আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা
প্রতিবছরের মতো এবারও নতুন বছরের প্রথম দিন শুরু হলো ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা। সীমিত বিনোদনকেন্দ্রের এ শহরে মাসব্যাপী বাণিজ্য মেলা হয়ে ওঠে রাজধানীবাসীর বিনোদনকেন্দ্র। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১০টা পর্যন্ত মেলা উন্মুক্ত থাকবে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গতকাল শুক্রবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে আনুষ্ঠানিকভাবে মাসব্যাপী ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার উদ্বোধন করেন। প্রাপ্তবয়স্কদের ৩০ টাকা এবং শিশু ও কিশোরদের ২০ টাকার টিকিটে মেলায় প্রবেশ করা যাবে।
এবারই প্রথম বাণিজ্য মেলার টিকিট অনলাইনে পাওয়া যাবে। এতে প্রতি টিকিটের মূল্য ধরা হয়েছে ৩০ টাকা। বাণিজ্য মেলায় আগ্রহীরা যে কোনো স্থান থেকে ওয়েব ও মোবাইল অ্যাপসের মাধ্যমে মোবাইল ব্যাংকিং, ইন্টারনেট, ক্রেডিট কার্ডের মাধ্য্যমে মেলার টিকিট কিনতে পারবেন। ওয়েব ঠিকানা www.e-ditf.com এ ব্রাউজ করে অনায়াসেই জানা যাবে মেলা সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য। এছাড়া মোবাইল অ্যাপস E-DITF ব্যবহার করেও জানা যাবে আনুষঙ্গিক তথ্য।
আগারগাঁওয়ে ৩১ দশমিক ৫৩ একর আয়তনের মাঠে এবারের মেলায় ছোট-বড় মিলিয়ে মোট ৫৫৩টি স্টল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এর মধ্যে বিদেশি প্রতিষ্ঠানগুলোর জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে ৫৬টি ছোট-বড় স্টল ও প্যাভিলিয়ন।
এবারের মেলায় বাংলাদেশসহ মোট ২২ দেশের বিভিন্ন বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান অংশ নিচ্ছে। মরিশাস, ঘানা, জাপান, নেপাল, হংকং, মরক্কো ও ভুটান এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার নতুন দেশ।
এ ছাড়া রয়েছে ভারত, পাকিস্তান, চীন, মালয়েশিয়া, ইরান, থাইল্যান্ড, যুক্তরাষ্ট্র, তুরস্ক, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, যুক্তরাজ্য, দক্ষিণ কোরিয়া, জার্মানি ও আরব আমিরাত।
এবারের মেলা অতীতের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি আকর্ষণীয় হবে এবং প্রতিদিন অন্তত এক লাখ দর্শনার্থী এ মেলায় আসবে বলে মেলার আয়োজক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর কর্মকর্তারা আশা করছেন।
এবার পুলিশ, র্যা ব, বিজিবি ও আনসার সদস্যদের পাশাপাশি মেলা কর্তৃপক্ষের নিযুক্ত বেসরকারি নিরাপত্তা সংস্থার সদস্যরাও নিরাপত্তার দায়িত্ব পালন করবেন। দর্শনার্থীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে নিয়োজিত থাকবেন ম্যাজিস্ট্রেট। এ ছাড়া অগ্নি-দুর্ঘটনা এড়াতে ফায়ার সার্ভিসের ব্যবস্থা এবং নিরাপত্তা জোরদার করতে মেলার চারপাশে ১০০টি ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরাও থাকছে বলে আয়োজকদের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
এর পাশাপাশি নতুন প্রজন্মের কাছে স্বাধীনতা ও বঙ্গবন্ধুকে তুলে ধরতে বঙ্গবন্ধু প্যাভিলিয়ন, মা ও শিশুকেন্দ্র, শিশুপার্ক, ইকোপার্ক, ই-শপ, ই-পার্ক, ৫২টি টয়লেট, মসজিদ, তিনটি স্থানে ৭৭০টি গাড়ির পার্কিংয়ের সুবিধা থাকছে।