জাতীয়দেশব্যাপীশিরোনামসর্বশেষসব খবর

ইজতেমায় কোনো নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই : র‌্যাব ডিজি

র‌্যাব প্রধান (ডিজি) ড. বেনজীর আহমেদ জানিয়েছেন, এবারের বিশ্ব ইজতেমায় কোনো ধরনের নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। নিশ্চিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো আগে থেকেই কাজ করেছে এবং র‌্যাব গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করেই নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়েছে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‌্যাবের মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।

র‌্যাবের মহাপরিচালক বলেন, ১৯৫৪ সাল থেকে টঙ্গীর তুরাগ তীরে বিশ্ব ইজতেমা হয়ে আসছে। অনেক লোক সমাগমের কারণে কয়েক বছর আগ থেকে দুই পর্বে ইজতেমা হচ্ছে।

সম্প্রতি মুসল্লিরা দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে যাওয়ায় গতবারের মতো এবারেও দুই পর্বে ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। এরই মধ্যে প্রায় সাড়ে ৪ লাখ লোক তুরাগ তীরে সমবেত হয়েছেন। বাংলাদেশ ছাড়াও ২৭ টি দেশ ধর্মপ্রাণ মুসলমানরা তুরাগ তীরে এসেছেন। এটি যেমন গর্বের আবার তাদের নিরাপত্তা দেওয়াও আমাদের কর্তব্য।

বেনজীর আহমেদ বলেন, নিরাপত্তা দিতে মোটরসাইকেল পেট্রোলিং করবো, আকাশ পথে হেলিকপ্টার টহল থাকবে, নদীতে বোর্ড পেট্রোলিং থাকবে, ওয়াচ টাওয়ার থেকে মনিটরিং করা হবে, স্যুইপিং টিম থাকবে, ডগ স্কোয়াড থাকবে, সিসিটিভি মনিটর করা হবে এবং সোস্যাল মিডিয়া মনিটর করা হবে। ফেক নিউজ ও গুজব প্রতিরোধে কঠোরভাবে সোস্যাল মিডিয়া মনিটর করা হবে। এছাড়া বড় কোনো সমস্যা মোকাবেলায় রেসকিউ টিম কাজ করবে।

সোস্যাল মিডিয়ার বিষয়ে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, সোস্যাল মিডিয়ায় কোনো নিউজ দেখে তা যাচাই না করে কেউ শেয়ার দেবেন না। এতে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা থাকে। তাতে দেশ ও জাতির ক্ষতি হতে পারে।

কেউ সরলতা প্রকাশ করার আগে ভালো করে যাচাই করুন। প্রয়োজনে সময় নিন, কাউকে জিজ্ঞাসা করুন, আসলেই এই নিউজটা কতটুকু সঠিক। কারণ দেশের একটি চক্র ফেক নিউজ ও গুজব ছড়ানোর জন্য সব সময় সক্রিয় রয়েছে।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বেজনজীর আহমেদ বলেন, আমি আগেই বলেছি বিশ্ব ইজতেমাকে কেন্দ্র করে কোনো প্রকার নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। র‌্যাবের গোয়েন্দা সংস্থা কাজ করছে, অন্যান্য গোয়েন্দা সংস্থাগুলোর সঙ্গে সমন্বয় করে কাজ করছে র‌্যাব। কাজেই মুসুল্লিরা নির্বিঘ্নে ইজতেমা পালন করে বাড়ি ফিরতে পারবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

অপর এক প্রশ্নের জবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক বলেন, দুই গ্রুপের সঙ্গেই সরকারের যোগাযোগ রয়েছে। প্রথম গ্রুপের ইজতেমা শেষ করে ময়দান বুঝিয়ে দেওয়ার পরই কেবল অপর গ্রুপ তাদের কার্যক্রম শুরু করবে। এ নিয়ে দুই গ্রুপের সঙ্গেই কথা হয়েছে। শান্তিপূর্ণভাবে দুই পর্বের ইজতেমা শেষ করতে একে অপরকে সহযোগিতাও করবে বলে মত দিয়েছেন মুরুব্বিরা।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *