ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামালাতেই ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্ত, পশ্চিমা নেতাদের ধারনা
তেহরানের ইমাম খামেনি বিমান বন্দর থেকে উড্ডয়নের পরই ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলায় ১৭৬ জন যাত্রী নিয়ে বিধ্বস্ত হয় ইউক্রেনগামী বোয়িং-৭৩৭ বিমান পিএস৭৫২ । এমনটি মনে করছেন পশ্চিমা নেতারা।
ইতিমধ্যে এই বিমান দুর্ঘটনা নিয়ে পূর্ণাঙ্গ তদন্তের দাবি জানিয়েছে কানাডা এবং যুক্তরাজ্যের নেতারা। অটোয়ায় একটি সংবাদ সম্মেলনে কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, হয়তো অনিচ্ছাকৃতভাবে ঘটনাটি ইরান ঘটিয়েছে।
মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিবিএস নিউজ এক মার্কিন গোয়েন্দার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, স্যাটেলাইটে প্রাপ্ত ছবিতে দুটি ক্ষেপণাস্ত্র হামলার প্রমাণ পাওয়া গেছে। আরেক মার্কিন সংবাদমাধ্যম নিউজউইক একজন পেন্টাগন এবং একজন মার্কিন গোয়েন্দার কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, রাশিয়ার তৈরি একটি ক্ষেপণাস্ত্র ইউক্রেনের বিমানটিতে আঘাত করে। বৃহস্পতিবার মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পও ইরানে ইউক্রেনের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় সন্দেহ প্রকাশ করেছেন।
এদিকে ইরান ইতিমধ্যে জানিয়েছে যে তারা বিধ্বস্ত বিমানের ব্ল্যাক বক্স যুক্তরাষ্ট্র অথবা বোয়িং প্রতিষ্ঠানের কাছে দেবে না। তবে বোয়িং প্রতিষ্ঠানকে তদন্তে যুক্ত হওয়ার আমন্ত্রণ জানিয়েছে ইরান।
উল্লেখ্য, গত ৮ জানুয়ারি ইরানের খামিনি বিমানবন্দর থেকে ইউক্রেনগামী বিমান উড্ডয়নের সঙ্গে সঙ্গে বিধ্বস্ত হয়। এতে বিমানের ১৭৬ যাত্রী ও ক্রুর সবাই প্রাণ হারান। তাদের মধ্যে ইরানের ৮২, কানাডার ৬৩, ইউক্রেনের ১১, সুইডেনের ১০, চারজন আফগানিস্তান, তিনজন জার্মানি এবং অপর তিনজন ব্রিটিশ নাগরিক ছিলেন।
দুর্ঘটনার প্রাথমিক কারণ হিসেবে যান্ত্রিক ত্রুটির কথা উল্লেখ করা হয়েছিল। বিমানটির ব্ল্যাক বক্স ইতোমধ্যে উদ্ধার করা হয়েছে।