শ্রদ্ধায় স্মরনীয় হয়ে থাকলেন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডাঃ আজিজুর রহমান
বিজয়ের ৪৯ বছরে পর এই প্রথম শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা ডা: আজিজুর রহমানকে স্মরণ করলো বিভিন্ন স্তরের মানুষ। ১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে তাকে বাসা থেকে ধরে নিয়ে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। তিনি একজন শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধা হয়েও মুক্তিযোদ্ধা তালিকায় তার নাম নেই। রাস্ট্রীয় কোন অনুষ্ঠানে বা এলাকার কেউ তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান না। নীরবে কেটে গেছে ৪৯টি বছর। তার এলাকার কিছু বন্ধুরা তার মুকিযোদ্ধার কথা জানলেও উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডের অনেকেই তার নাম জানে না।

দীর্ঘদিন পরে হলেও এই প্রথম শনিবার সকালে যশোরের শার্শা উপজেলার নাভারণ রেল বাজার ডা: আজিজুর রহমানের নিজ বাসভবনে শহীদ ডাক্তার আজিজুর রহমানের স্মৃতি স্মারনিক, দেয়ালচিত্র উন্মোচন ও শহীদদের উদ্দেশ্যে স্মৃতি চারণ ও দোয়া অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় পারিবারিক ভাবে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে স্মৃতিচারণ করেন শার্শা উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যাান সিরাজুল হক মঞ্জু। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান আব্দুল মান্নান মিন্নু, এ্যাডভোকেট মোজাফফর হোসেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা ও সাবেক কমান্ডার আলমগীর হোসেন, ডাঃ নাজমুল আহাসান তাহা, শার্শা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি আলহাজ্ব সালেহ আহমেদ মিন্টু, নাভারন ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ ইব্রাহিম খলিল প্রমুখ।
স্মৃতিচরণে বক্তারা বলেন, শহীদ ডাঃ আজিজুর রহমান ছিলেন মহান মুক্তিযুদ্ধের নিভৃতচারী প্রগতিশীল একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা। হোমিও ডাক্তার হিসেবে এলাকায় ছিল তার সুখ্যাতি। তিনি সক্রিয় ভাবে রাজনীতি না করলেও অসম্প্রদায়িক ও মুক্ত চেতনায় বিশ্বাসী রাজনৈতিক ব্যক্তি হিসেবে পরিচিতি লাভ করেন। ১৯৪২ সালে ভারতের জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের অবিসংবাদিত নেতা মহাত্মা মোহন দাস করম চাঁদ গান্ধীজী সুচিত “ভারত ছাড়ো” আন্দোলনে তিনি সক্রিয় অংশ গ্রহণ করেন। আন্দোলনকারী অন্যান্য নেতাদের সাথে ব্রিটিশ সরকারের হাতে গ্রেপ্তার ও কারাবরণ করেন।
সাম্প্রদায়িক রাজনীতির প্রতি চরম ঘৃনা থাকায় পাকিস্তানে বসবাসকালে তিনি কমিউনিষ্ট বাম ঘরনার রাজনীতিদের সাথে যোগাযোগ রাখতেন।
শহীদ ডাঃ আজিজুর রহমান জাতীর জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ১৯৬৭ সালের ৬ দফা আন্দোলনের নেতা যশোর জেলা আওয়ামীলীগের এ্যাডভোকেট মোশারফ হোসেনের নেতৃত্বে স্বৈরশাষক আয়ুব খানের রক্ত চক্ষু উপেক্ষা করে জেলার বিভিন্ন অঞ্চলে ৬ দফা দাবী সম্বলিত হ্যান্ড বিল বিলি করে বেড়াতেন।
১৯৭১ সালের এপ্রিল মাসে স্থানীয় রাজাকার আব্দুল কাদের শুকুরের নির্দেশে পাক-হানাদার বাহিনী ডাঃ আজিজুর রহমানকে রাতের অন্ধকারে ধরে নিয়ে যায় এবং তাকে নির্মম ভাবে হত্যা করা হয়। #
/ মোজাহো