কালিগঞ্জে পানি উন্নয়ন বোর্ডের কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চলছে জমি দখল
সাতক্ষীরার কালিগঞ্জ উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) কর্মকর্তাদের সহযোগিতায় চলছে জমি দখলের মহাউৎসব।
উপজেলার চম্পাফুল ইউনিয়নের ঘুষুরি বাজারের ইঞ্জিন-ভ্যান গ্যারেজের পাশে পানি উন্নয়ন বোর্ডের জমি দখল করে একাধিক ব্যাক্তি গড়ে তুলছে পাকা দোকান ঘর।
অবৈধভাবে দোকান নির্মাণের বিষয়ে স্থানীয়রা উপজেলা পাউবো কর্মকর্তাকে জানালেও কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি তিনি বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। অনেক ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা ওবাইদুল হক মল্লিক উৎকোচ গ্রহণ করে দোকান ঘর নির্মাণে সহযোগিতা করছে দখলদারদের।
সরেজমিনে ঘটনাস্থলে গেলে চোখে পড়ে পাউবোর জমি দখল করে একের পর এক দোকান ঘর নির্মাণের দৃশ্য। এযেন হরিলুটের বাতসা কে কতটা নিতে পারে সেই প্রতিযোগিতায় মেতেছে দখলকারীরা। বর্তমানে ওই বাজারে প্রায় ১০ শতক জমি দখল নিয়ে একটি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ চালাচ্ছেন ঘুষুরি গ্রামের মৃত আনসার আলী গাজীর ছেলে খোদাবক্স গাজী।
স্থানীয়দের শত বাঁধার মুখেও থেমে নেই তার নির্মাণের কাজ। সামনে ঘিরে রেখে অন্দর মহলে দোকান ঘর নির্মাণের কাজ প্রায় শেষ করেছেন তিনি। সব কিছু জেনেও কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেননি পাউবো কর্মকর্তারা সেটি ঘটনা স্থলে গিয়েই বোঝা গেল।
সরকারি পাউবোর জমি দখলের বিষয় জানতে চাইলে খোদাবক্স বলেন, সবাই যেমন ভাবে দখল করে দোকান ঘর নির্মাণ করেছে তিনি ও তেমন ভাবে করছেন। তবে উপজেলা পাউবোর শাখা কর্মকর্তা তাকে নোটিশ দিয়েছেন তারপরও তিনি দোকানঘর নির্মাণ কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন বলে জানান তিনি।
এছাড়া কয়েকমাস আগে একই এলাকার মৃত ফজল গাজীর ছেলে শামছুর গাজী একই স্থানে পাউবোর জায়গা দখল করে ৫ টি পাকা দোকান ঘর নির্মাণ করেছে। তাছাড়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে ছাদ দিয়ে ৪টি দোকান ঘর নির্মাণ করেছে ঘুষুরি গ্রামের মোবারক মোড়লের ছেলে হামিদ মোড়ল ও সৈয়দ গাজীর ছেলে হাফিজুর গাজী ছাঁদ দিয়ে একটি দোকান ঘর নির্মাণ করেছে পাউবোর জায়গা দখল করে।তাদের কাছে জানতে চাইলে তারা বলেন সরকারি কর্মকর্তা ও স্থানীয় নেতাদের ম্যানেজ করে তারা দোকান ঘর নির্মাণ কাজ শেষ করেছেন।পাহারাদার যদি চোর ঘরে ঢোকার সুযোগ করে দেয় তাহলে চুরি তো হবেই। পাউবো কর্মকর্তাদের যোগসাজশে যদি জমি দখল হয় তাতে দখলদারদের দোষ কোথায়? এমন প্রশ্ন সাধারণ মানুষের।

এবিষয়ে জানতে চাইলে উপজেলা পানি উন্নয়ন বোর্ডের শাখা কর্মকর্তা (এসও) ওবাইদুল হক মল্লিক বলেন, তিনি দখলকারী খোদাবক্সকে নোটিশ দিয়েছেন তারপরও সে কোন প্রকার বাঁধা না মেনেই প্রভাব খাঁটিয়ে দখল করেছে পাউবোর জমি। তবে তার বিরুদ্ধে মামলা করবেন বলে জানান তিনি। এছাড়া গত কয়েক মাস আগে পাউবোর জমি দখল করে ওই যেসব দোকান ঘর নির্মাণ করা হয়েছে সেসময় উপজেলার পাউবোর কোন কর্মকর্তা জানতে পারেননি এজন্য কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করতে পারেননি। তবে জেলা প্রশাসকের অনুমতি নিয়ে ঘুষুরি বাজারের পাউবোর জমির উপর গড়ে ওঠা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করবেন তিনি। দখলকারীদের কাছ থেকে উৎকোচ নেওয়ার বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
/ এমডিআআ