ইবিতে ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস পালিত
আজ ঐতিহাসিক ৭ই মার্চ।
পঞ্জিকায় থাকা ১২ মাসের মধ্যে ৭১ মার্চের একটা গুরত্ব অপরিসীম। কারণ, এমাসেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় উত্তোলন করা হয়েছিল স্বাধীন বাংলাদেশের লাল সবুজের পতাকা।
বঙ্গবন্ধু দিয়েছিলেন সেই ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ‘প্রেম-দ্রোহ স্পর্ধার’ ঝাঝালো ভাষণ। তাতে প্রতিধ্বনিত হয়েছিল বাঙালির মুক্তি অর্জনের ইস্পাত কঠিন প্রতিজ্ঞা। এই ভাষণের মধ্যে স্বাধীনতার বীজ নিহিত ছিল। প্রকৃতিতে যেমন বীজ অঙ্কুরিত হয়ে পরিপুষ্ট হয়ে ফসলে পরিণত হয়। ঠিক তেমনি এই ভাষণ ও পরবর্তীতে পরিপুষ্ট হয়ে বাংলােদেশ নামক স্বাধীন ভূখণ্ডে পরিণত হয়েছিল। আজ সারাদেশে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে পালিত হচ্ছে ৭ই মার্চের ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস।
তেমনি বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ৭ই মার্চ ঐতিহাসিক ভাষণ দিবস পালিত হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে র্যালি ও আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় কতৃপক্ষের আয়োজনে শনিবার (৭ই মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় র্যালি বের করেন তারা। র্যালিটি প্রশাসনিক ভবনের সামনে থেকে শুরু হয়ে বভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালে এসে শেষ হয়। সেখানে সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
এসময় উপস্থিত ছিলেন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন-উর-রশিদ আসকারী, উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. শাহিনুর রহমান, ট্রেজারার অধ্যাপক ড. সেলিম তোহা, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্টার এম আব্দুল লতিফ, ছাত্র উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. সাইদুর রহমান, প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাবেক প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবুর রহমান সহ শিক্ষক – কর্মকর্তা ও শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. হারুন – উর রশিদ আসকারী বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ৭ই মার্চের ভাষণ বাঙালি জাতির বাতিঘর। তিনি বলেন জাকজমকপূর্ণ ও যথাযোগ্য মর্যাদায় আমরা মুজিবর বর্ষ পালন করব।
এজন্য নান কর্মসূচি গ্রহণ করা হয়েছে। আর এসব কর্মসূচীর উদ্দেশ্য হল বর্তমান ও ভবিষৎ প্রজন্মের কাছে স্বাধীন বাংলাদেশের সপ্নদ্রষ্টা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সকল দিক ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়ের গুরুত সম্পর্কে পৌছে দেওয়া।’
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি স্মরণে নির্মিত মৃত্যুঞ্জয়ী মুজিব ম্যুরালের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য অর্পণ করেন ইবি প্রশাসন সহ অন্যান্য সংগঠনের নেতাকর্মীরা।