মালয়েশিয়ায় শার্শার যুবক নিহত: পরিবারে চলছে শোকের মাতম
মালয়েশিয়ায় পাইপ লাইনের কাজ করতে গিয়ে মাটি ধসে চাপা পড়ে নিহত হয়েছে সোহেল রানা ওরফে বকুল (২৫) নামে এক বাংলাদেশী যুবক। যশোরের শার্শার বাড়িতে চলছে এখন শোকের মাতম। সন্তানকে হারিয়ে দিশেহারা তার পরিবারের সদস্যরা। নিহত বকুল শার্শা উপজেলার ডিহি ইউনিয়নের রঘুনাথপুর গ্রামের আব্দুল মতিনের ছেলে।
নিহতের মা আল্লাদি বেগম জানায়, তিন বছর আগে দালালের প্রলোভনে পড়ে সংসারের সচ্ছলতা ফেরাতে জায়গা জমি, গরু ছাগল সহায় সম্বল বিক্রি করে পরিবারের বড় সন্তান বকুলকে অবৈধভাবে মালয়েশিয়াতে পাঠান তার পরিবার। ভালই চলছিল আব্দুল মতিন দম্পতির সংসার। কিন্তু বিধিবাম ভাগ্যের নির্মম পরিহাস সেই সুখ তাদের কপালে সইলো না। গত শনিবার (৭ মার্চ) তার সহকর্মী বন্ধু বিকেল ৫টায় হঠাৎ মালয়েশিয়া থেকে ফোন করে তাদের ছেলে বকুল পাইপ লাইনের কাজ করতে গিয়ে মাটি ধসে চাঁপা পড়েছে। এমন সংবাদ পেয়ে হতভাগা মা বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন।
সোমবার বিকালে বকুলের বাড়িতে গিয়ে দেখা যায় বকুল বকুল বলে কাঁদতে কাঁদতে বারবার মুর্ছা যাচ্ছেন মমতাময়ী মা। কান্না জড়িত কন্ঠে তিনি জানান, বকুল আর এই পৃথিবীতে বেঁচে নেই। পরিবারের সদস্যদের কান্নার আওয়াজ পুরা বাড়ির পরিবেশ ভারি হয়ে উঠেছে। বকুলের মৃত্যুর খবর পেয়ে পাড়া প্রতিবেশী ও আতœীয় স্বজন বাড়িতে ছুটে আসছেন। কেউ তার মা-বাবাকে সান্তনা দিতে পারছেন না। বকুলই ছিল তাদের পরিবারে একমাত্র আয়ের উৎস।
তার মৃত্যুতে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে একটি পরিবারের ভবিষ্যৎ। পরিবারের একমাত্র চালিকা শক্তিকে হারিয়ে সবাই এখন দিশেহারা হয়ে পড়েছে। নিহতের মরদেহ বর্তমানে মালয়েশিয়ার কানতাপ নামে একটি হাসপাতালে রয়েছে। তবে নিহতের মরদেহ বাংলাদেশে কবে নাগাদ আসবে এই ব্যাপারে সঠিক কোন তথ্য দিতে পারেনি বকুলের পরিবার।
/ মোজাহো