ফেব্রুয়ারি মাসের বেতন পাননি শার্শার ৭৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকা
যশোরের শার্শায় প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় উপজেলা শিক্ষা অফিস সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭শ‘ ৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার ফেব্রæয়ারি মাসের বেতন দিতে পারেনি। বেতন না পাওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের মধ্যে হতাশা বিরাজ করছে।
এদিকে উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব গত ১৬ ফেব্রæয়ারি বদলি হওয়ায় শিক্ষা অফিসারের পদটি গত ২১ দিন ধরে শূন্য রয়েছে। শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য থাকায় উপজেলায় কর্মরত শিক্ষক-শিক্ষিকা সব ধরনের বিলপ্রাপ্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। সহকারী শিক্ষা অফিসার রাজমনি উপজেলা শিক্ষা অফিসারের দায়িত্বে থাকলেও অধিদপ্তর থেকে আর্থিক ক্ষমতা না পাওয়ায় তিনি কোন বিল-ভাউচারে স¦াক্ষর করতে পারছেন না। ফলে শার্শা উপজেলা শিক্ষা অফিসে এক ধরনের স্থবিরতা বিরাজ করছে।
জানা গেছে, শার্শা উপজেলায় ফেব্রæয়ারি মাসে ১ শ ২৬ টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৭ শ ৪৫ জন শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন বাবদ ২ কোটি ৪৬ লাখ ৯৬ হাজার ৬৩২ টাকা ও অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক-শিক্ষিকার জন্য ২ লাখ টাকা প্রয়োজন। কিন্তু প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ না থাকায় মার্চ মাসের ৮ দিন পেরিয়ে গেলেও উপজেলা শিক্ষা অফিস শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতনের কোন কিনারা করতে পারছে না।
উপজেলা শিক্ষা অফিস সূত্রে জানা গেছে, বদলি হয়ে যাওয়া উপজেলা শিক্ষা অফিসার শেখ আব্দুর রব শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতনের জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ না চাওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর থেকে বেতনের জন্য কোন বরাদ্দ দেয়া হয়নি। তাই নতুন করে বরাদ্দ চেয়ে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরে চাহিদা পাঠাতে হবে। আর্থিক বরাদ্দ না থাকা ও শিক্ষা অফিসারের পদ শূন্য হওয়ায় শিক্ষক-শিক্ষিকাদের ফেব্রæয়ারি মাসের বেতন পেতে এখনো মাস খানেক সময় লেগে যেতে পারে।
উপজেলা শিক্ষা অফিসের একজন সহকারী শিক্ষা অফিসার কথা প্রসঙ্গে বলেন, শার্শার প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতনপ্রাপ্তি নিয়ে যে জটিলতার সৃষ্টি হয়েছে তা সহসাই দূর হবে বলে মনে হয় না। আর এর প্রভাব পড়ছে সরকারি প্রশাসন যন্ত্রের উপর। অনেকে বলছেন, সরকারের টাকা নেই তাই শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন দিতে পারছে না। আবার অনেকে বলছেন, ব্যাংকে টাকা নেই তাই এ অবস্থা। কিন্তু সব থেকে সত্য হলো শিক্ষক-শিক্ষিকাদের বেতন না পাওয়া।
এ ব্যাপারে শার্শা উপজেলা ভারপ্রাপ্ত শিক্ষা কর্মকর্তা রাজমনি বলেন, ‘শিক্ষা অধিদপ্তরে প্রয়োজনীয় আর্থিক বরাদ্দ চেয়ে পত্র দেয়া হয়েছে। অতি দ্রæত সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।
/ মোজাহো