প্রতিদিন বন্ধন বেকারির সীমাহীন প্রতারণার স্বীকার ৩৮ লক্ষ ভোক্তা
টাঙ্গাইলের বিসিক শিল্প নগরীতে প্রায় ১ যুগ আগের গড়ে ওঠা বন্ধন বেকারির দ্বারা প্রতিদিন সীমাহীন প্রতারণার স্বীকার হচ্ছে ভোক্তারা।
রাজধানী ঢাকার অদূরের বৃহত্তম জেলা টাঙ্গাইলের প্রাণকেন্দ্রে গড়ে উঠেছে এই বন্ধন বেকারি। জেলার ১২ উপজেলা সহ এর প্রতিটি গ্রামের প্রায় ৩৮ লক্ষ জনসংখ্যার এই জেলাটির চূড়ান্ত ভোক্তারা প্রতিদিন প্রতারিত হচ্ছে এই বেকারি দ্বারা।
বন্ধন বেকারির উৎপাদিত প্যাকেটজাত খাদ্য দ্রব্য যে দিন উৎপাদন করা হয় তার ১-৩ দিন পরের উৎপাদন তারিখ ও মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ দেয়া হয় ।
সরেজমিনে গতকাল ৮ মার্চ ২০২০ রবিবার রাতে বন্ধন বেকারির কাভার্ট ভ্যানে করে নাগরপুর উপজেলা বাস ষ্টান্ডে এ সব পন্য পাইকারি বিক্রির সময় দেখা যায় উৎপাদিত প্যাকেটজাত খাদ্যের গায়ে পন্যগুলোর উৎপাদনের তারিখ দেয়া রয়েছে ৯.০৩.২০২০ এবং মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ দেয়া রয়েছে ১৬.০৩.২০২০ এবং বেশ কিছু পন্যের মূল্য দেয়া ছিল না।
পন্যগুলো বিক্রিতে নিয়োজিত ম্যানেজার মজিবর এ বিষয়ে বলেন, এ সব খাদ্যদ্রব্য গতকালই উৎপাদিত হয়েছিল কিন্তু তারা আগামীকালের উৎপাদন তারিখ দিয়েছে। তিনি বিগত প্রায় ৩ বছর যাবৎ এই প্রতিষ্ঠানে কর্মরত, আর এভাবেই চলে আসছে এ প্রতিষ্ঠানের কর্মকান্ড। তিনি আরো বলেন মাঝে মাঝে এসব পন্য বিক্রির সময় ঝামেলায় পড়তে হয়। তবে সব কিছুর পরেও চলে আসছে কর্মকান্ড।
নাম না প্রকাশের শর্তে উপজেলার বাসস্ট্যান্ডের এক খুচরো দোকানী এ বিষয়ে বলেন, আমরা পন্যের উৎপাদনের উপকরণ, তারিখ ও মেয়াদ উত্তির্নের তারিখ এর বিষয়ে সংশ্লিষ্ট কোম্পানির লোকদের একাধিক বার জিজ্ঞেস করেছি কিন্তু তারা বলেন এটা আপনাদের জানার বিষয় না। মাল বিক্রি করার দরকার করবেন। দোকানী আরো বলেন, ভাই এসব খাবার তৈরীর আগেই ভোক্তাদের পেটে চলে যায়, এ সব প্রতারণার কথা কি আর বলব।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের মালিক বাদল সরকার এর সাথে একাধিক বার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করলেও তার সাথে কথা বলা সম্ভব হয়নি।
/ মোজরলু