করোনাভাইরাস: জরুরী কথা!! ছড়িয়ে যাক প্রিয়জনদের কাছে
পৃথিবীতে আমরাই এখন সব চাইতে বেশি বিপজ্জনক অবস্থায় আছি। বুঝে উঠতে পারছিনা আগে কি বাঁচাবো? জান বাঁচাবো??? নাকি অন্যকিছু !! নিচের তথ্যটি পড়ুন আর শেয়ার করুন সবার সাথে-
নিউ ইয়র্ক
প্রথম সপ্তাহ- ২ জন
দ্বিতীয় সপ্তাহ- ১০৫ জন
তৃতীয় সপ্তাহ- ৬১৩ জন
ফ্রান্স
প্রথম সপ্তাহ- ১২ জন
দ্বিতীয় সপ্তাহ- ১৯১ জন
তৃতীয় সপ্তাহ- ৬৫৩ জন
চতুর্থ সপ্তাহ- ৪,৪৯৯ জন
ইরান
প্রথম সপ্তাহ- ২ জন
দ্বিতীয় সপ্তাহ- ৪৩ জন
তৃতীয় সপ্তাহ- ২৪৩ জন
চতুর্থ সপ্তাহ- ৪,৭৪৭ জন
পঞ্চম সপ্তাহ- ১২,৭২৯ জন
ইতালি
প্রথম সপ্তাহ- ৩ জন
দ্বিতীয় সপ্তাহ- ১৫২ জন
তৃতীয় সপ্তাহ- ১,০৩৬ জন
চতুর্থ সপ্তাহ- ৬,৩৬২ জন
পঞ্চম সপ্তাহ- ২১,১৫৭ জন
স্পেন
প্রথম সপ্তাহ- ৮ জন
তৃতীয় সপ্তাহ- ৬৭৪ জন
চতুর্থ সপ্তাহ- ৬,০৪৩ জন
ভারত
প্রথম সপ্তাহ- ৩ জন
দ্বিতীয় সপ্তাহ- ২৪ জন
তৃতীয় সপ্তাহ- ১০৫ জন
বাংলাদেশ
প্রথম সপ্তাহ- ৩ জন
পরের দুই সপ্তাহ বাংলাদেশের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ !
যদি আমরা ঠিকঠাক সতর্কতা অবলম্বন করি তাহলে ওপরে লেখা ঐ চেইনটা আমরা ভেঙে ফেলতে সক্ষম হবো।
বাংলাদেশ এখন অবধি ভাল লড়াই করেছে এই ভাইরাসের বিরুদ্ধে। আমারা এখন এমন একটা স্টেজ আছি যেখানে এই ভাইরাস হঠাৎ ছড়ানো শুরু হতে পারে মানুষ থেকে মানুষে। এইটা এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সময় আমাদের জন্যে।
ইতালিতে যেমন তৃতীয় এবং অন্যদেশে চতুর্থ সপ্তাহ থেকে হঠাৎ করে সংক্রমণ বাড়তে থাকে তেমনটা থেকে আমাদের বাঁচতেই হবে। ইতালিতে তৃতীয় সপ্তাহে হঠাৎ করে ৩০০ থেকে পৌঁছে যায় ১,০০০ আর তারপরে এখন ২১,০০০ ছাড়িয়ে।
আমাদের দেশে আমরা যদি এখনই সচেতন না হই, জিনিসটা বাড়তে দেই, তাহলে আমাদের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যেতে পারে অন্যদেশগুলোর চেয়ে। এপ্রিলের ১৫ তারিখ অবধি তাই খুব গুরুত্বপূর্ণ সময়।
দয়া করে যেকোনো রকম ভিড় এড়িয়ে চলুন। শুধু আপনার নিজের জন্যে নয়, বাড়ির সবার জন্যে, পরিচিতদের জন্যে, দেশের জন্যে, মানুষের জন্যে।
শুধুমাত্র স্কুল ছুটি আছে এই খুশিতে বাক্সপেটরা নিয়ে মনের আনন্দে বেড়াতে যাবেন না। ছুটি আবার আসবে আগামী বছর; কিন্তু জীবন, স্বাস্থ্য, অর্থনীতি গেলে আর পাবেন না !!
পক্ষান্তরে বিয়ের অনুষ্ঠান, জন্মদিনের পার্টি, গেট টুগেদার ইত্যাদি উপেক্ষা করুন এই কটাদিন। যদি এটা করেন মানুষ আপনাকে বিচক্ষণ বলবে এবং ধন্যবাদ দেবে। নিজের ভাগ্য পরীক্ষার এইটা সঠিক সময় নয়। নিজেকে সাহসী প্রমাণ করতে যাওয়াটাও এখন মূর্খতা। পরের ৩০ দিন দেশের স্বাস্থ্যসেবা ইতিহাসের এক গুরুত্বপূর্ণ সময়।
মূর্খ আর অতিসাহসীদের থেকে দূরে থাকুন, ওনারা না জেনে করছেন, উনাদের কাছে বিশ্বের খবর পৌঁছয়না ঠিক করে। উনারা ভাবছেন বাকি দেশগুলো হয়ত অন্য কোনো গ্রহে আছে আর উনি বাংলাদেশে বসে নিজের চারপাশে সুরক্ষাবলয় বানিয়ে রেখেছেন !
আপনাদের বাড়িতে, অফিসে, আপনাদের কাজে যারা আপনাদের সারা বছর সাহায্য করছেন (কাজের লোক/ খালা/ বেটি ইত্যাদি) তাদেরও জানিয়ে দিন। তাদের সাবান কিনে দিন নিজের বাড়ির জন্যে, ওনাদের বাড়ির জন্যে। বলুন ব্যবহার করতে। উনারা সংক্রমিত হলে কিন্তু আপনারাও হবেন। ভুলে যাবেন না….!
এইবার দেখুন কোথা থেকে সংক্রমণ হতে পারে সেই তথ্য।
১। তালাচাবি
২। লিফট এর বোতাম।
৩। কলিং বেল এর সুইচ।
৪। সংবাদপত্র।
৫। গাড়ীর দরজা।
৬। আবর্জনা কর্মীদের সাথে ময়লা বিনিময়।
৭। কাঁচা শাকসবজি এবং ফলমূল কেনার সময়।
৮। দোকান কাউন্টার।
৯। অফিস প্যান্ট্রি, লাঞ্চরুম, ওয়াশরুম এবং দরজা হ্যান্ডল, ট্যাপকল, চাপকল
১০। বাগানে/ পার্কে বসার আসন।
১১। খেলাধুলা (যদিও অজানা কারণে ছোট বাচ্চারা কৃতজ্ঞতার সাথে কম ক্ষতিগ্রস্থ হবে)।
১২। গৃহকর্মী।
১৩। সমস্ত দরজা সিটকানি।
১৪। দারাজ ইত্যাদির প্যাকেট।
১৫। যে কোনও শপিং প্যাকেট।
১৬। টাকা এবং মুদ্রা।
১৭। উবার, অটো ইত্যাদি।
১৮। বাস এবং ট্রেন হ্যান্ডেলগুলি।
১৯। জুতা, থুতুর উপর পা ফেলা থেকেও হতে পারে।
২০। যদি বিমানে ভ্রমণ করে, তবে টার্মিনাল থেকে প্রস্থান টার্মিনালে একাধিক পয়েন্ট।
এছাড়াও আরো আরো অনেক..