চা এর প্রকার ও এর বেশ কিছু উপকারিতা
চা এর প্রকার
ব্ল্যাক টি:
সাধারণ চা পাতা থেকে এটি তৈরি করা হয়। নাম কালো চা হলেও এটির প্রকৃত রঙ হয় লাল। লাল চা আর কালো চায়ের মধ্যে পার্থক্য এতটুকুই লাল চা স্বাদে কিছুটা ধোঁয়াটে গন্ধযুক্ত হয়ে থাকে।
গ্রীন টি:
এটিও বেশ জনপ্রিয় একটি প্রকার। বাজারে গ্রীন টি অত্যন্ত সহজলভ্য। গ্রীন টি আপনার ত্বক পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। এটি সুন্দর স্বাস্থ্য গঠনেও এটি বিশেষ সাহায্য করে।
লেবু চা:
লেবু চা ওজন কমাতে অসাধারণ কার্যকরী। কালো চা বা লিকার চায়ের তুলনায় পুষ্টিগুনে এটি বেশি উপকারী। এর রেসিপিতে আপনাকে লিকার চা তৈরি করে পরিবেশনের সময় পরিমানমত লেবুর রস মিলিয়ে দিলেই হবে। কিন্তু বেশিক্ষন লেবু চুবিয়ে রাখলে চায়ে তেঁতো স্বাদ চলে আসার সম্ভাবনা থাকে।
আদা চা:
সাধারণ সর্দি, মাথা ব্যথা, গলা ব্যথায় আদা চায়ের উপকারিতা আমরা প্রায় সবাই জানি। গরম এক কাপ চা জাদুর মত মাথা ব্যথা সারাতে সাহায্য করে। এর রেসিপিতে আপনাকে জল গরম করার সময় আদা টুকরা করে দিয়ে কিছুক্ষন জ্বাল দিতে হবে। এরপর চা পাতা ও চিনি দিয়ে নামিয়ে নিতে হবে। এছাড়া চা বানিয়ে তাতেও আদার কিছুটা রস মিশিয়ে চা পান করা যায়।
জেনে নিন চা এর বেশ কিছু উপকারিতা
ক্যাফেইন-এর পরিমাণ কম থাকে:
কফির তুলনায় চায়ে ক্যাফেইনের পরিমাণ কম থাকার কারণে চা পান করলে কফির তুলনায় কম ক্ষতি হয়। তাই তো কফিকে টাটা বাই-বাই বলে আজ থেকেই সকাল বিকাল শুরু করুন চা পান।
হার্টকে ভালো রাখে:
লিকার চায়ে এমন কিছু এনজাইম থাকে, যা হার্টে রক্ত সরবরাহ বাড়িয়ে দিয়ে হৃদপিন্ডকে সুস্থ রাখে। তাই তো চিকিৎসকেরা দিনে কম করে দুবার লিকার চা খাওয়ার পরামর্শ দেন।
ক্যানসার প্রতিরোধ করে:
একদিক গবেষণায় একথা প্রমাণিত হয়েছে যে গ্রিন টি-তে এমন কিছু উপাদান থাকে যা শরীরে ক্যানসার কোষের বৃদ্ধি আটকে দেয়।
মাইগ্রেন-এর কষ্ট কমায়:
এক্ষেত্রে ল্যাভেন্ডার চা খুব কাজে দেয়। আসলে এই চায়ে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ, যা মস্কিষ্কে রক্ত চলাচল বাড়িয়ে দিয়ে মাইগ্রেন-এর যন্ত্রণাকে কমিয়ে ফেলে।
নার্ভ-কে শান্ত করে:
চায়ে উপস্থিত অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট প্রপাটিজ মস্তিষ্কে রক্ত ও অক্সিজেনের সরবরাহ বৃদ্ধি করে। ফলে নার্ভ শান্ত হয়। সেই সঙ্গে শারীরিক ও মানসিক ক্লান্তিও দূর হয়।
যন্ত্রণা কমায়:
শরীরে কোথাও চোট লেগেছে? বেশ যন্ত্রণাও হচ্ছে? চিন্তা নেই এক কাপ মধু চা খেয়ে ফেলুন। দেখবেন সব কষ্ট কেমন নিমেষে কমে যাবে। আসলে মধু চা প্রদাহ হ্রাস করে। সেই সঙ্গে ক্ষতস্থানের ফোলা ভাব কমাতেও বিশেষ ভূমিকা পালন করে থাকে।