সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলায় ব্যাতিক্রম পেয়াজের হাট
রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার প্রধান উৎপাদিত কৃষি পণ্য পেয়াজ।উপজেলার ১৬ হাজার হেক্টর কৃষি জমির মধ্যে ১০ হাজার হেক্টর জমিতে পেয়াজ উৎপাদন হয় প্রায় ১ লক্ষ ২০ হাজার মেঃ টন।
যা ক্রয়- বিক্রয়ের একমাত্র স্থান উপজেলার ১৮ টি সায়রাতভূক্ত হাটবাজার, বিশেষ করে বালিয়াকান্দি, বহরপুর, সোনাপুর, নারুয়া, জামালপুর, সমাধিননগর, জংগল পেয়াজ বাজার উল্লেখযোগ্য। কিন্তু হাট বন্ধ হয়ে যাওয়ার পিয়াজের চাষিরা কাচাবাজারে স্বল্প জায়গায় চাপাচাপি করে তাদের উৎপাদিত পেয়াজ বিক্রয় করে। কারণ এ পেয়াজ বিক্রয় করে বীজ স্যার কিনে তারা পাট ও কৃষি শস্য বুনবে। খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করা ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা (সকল কৃষি জমিতে উৎপাদন নিশ্চিত করা) বাস্তবায়নের জন্য কৃষকের উৎপাদিত পেয়াজ বিক্রয় জরুরী।একই সাথে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা এ মূহুর্তে আরও বেশি জরুরি।
এসকল বিষয় বিবেচনায় নিয়ে উপজেলা প্রশাসনের উদ্যোগে বালিয়াকান্দি শেখ রাসেল মিনি স্টেডিয়ামে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলছে পেঁয়াজের কাচাবাজারে কেনা-বেচা। উপজেলা নির্বাহী অফিসার জনাব একেএম হেদায়েতুল ইসলাম এর পরিকল্পনায় উপজেলা ও ইউনিয়ন হাটবাজার ব্যবস্থাপনা কমিটি, উপজেলা প্রকৌশল অফিস, বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদ, বালিয়াকান্দি উপজেলা স্কাউটস ও বালিয়াকান্দি বাজার বণিক সমিতি এর সহযোগিতায় পেঁয়াজের পাইকারি ও খুচরা ক্রেতা-বিক্রেতাদের জন্য পৃথক পৃথক জোন করে দেয়া হয়েছে।
খুচরা বিক্রেতাদের জন্য ৬ ফুট দূরে দুরে ১০৮ বর্গফুট আয়তনের বসার জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে এক লাইন হতে আরেক লাইনে ১০ ফুট ভ্যান চলাচলের রাস্তা রাখা হয়েছে। পাইকার/ ক্রেতাদেরজন্য ১২ ফুট দুরে দুরে ৩০২০ বর্গফুট আয়তনের স্থান ০১, ০২, ..… ক্রমিক ও ছাতা দিয়ে মাঠের তিনদিক জায়গা করে দেয়া হয়েছে। স্টেডিয়ামের প্যাভেলিয়ানে (২য় তলায়) কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে।
উপজেলা প্রশাসনের সাথে বালিয়াকান্দি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান জনাব নায়েব আলী শেখ,স্কাউটস এর সাধারণ সম্পাদক শিক্ষক জনাব অখিল কুমার কুন্ডু, উপজেলা কৃষি অফিসের কর্মকর্তাগণ এবং ইউপি সদস্য জনাব আকরাম হোসেন খান ও ইমরুল আহসান পুলক পেঁয়াজ বাজার মনিটরিং করছেন। তারা ১০ জন গ্রাম পুলিশকে সাথে নিয়ে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে পেঁয়াজ কেনা-বেচা নিশ্চিত করতে মাঠেও মনিটরিং করছেন।
এই পাইলটিং বাজার মডেলটি সফলভাবে শেষ হলে পর্যায়ক্রমে উপজেলার সকল পেয়াজ বাজারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজার পরিচালনার এই মডেলটি অনুকরণ করা হবে।
/ আই