করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই চলছে নাগরপুর উপজেলার সকল ইটভাটা
পুরো পৃথিবী সহ বাংলাদেশ যখন করোনা ভাইরাসের সংক্রমণে দিশেহারা তখন নাগরপুর উপজেলার ইটভাটাগুলো করোনা ভাইরাসের ঝুঁকি নিয়েই চালিয়ে যাচ্ছে কার্যক্রম।
দেশের সেবা দানকারী অফিস ও প্রতিষ্ঠান ছাড়া সকল প্রতিষ্ঠান যখন বন্ধ রাখা হয়েছে। নাগরপুর উপজেলায় প্রায় ১০ হাজার শ্রমিক নিয়ে চলছে ইটভাটাগুলো। এতে করে পুরো উপজেলা সহ মানবজীবন হুমকির মুখে ফেলেছে এমন কার্যক্রম। জনমনে প্রশ্ন জাগে তবে ইট খোলা কি জরুরি সেবার আওতায় পড়ে?

অজ্ঞাত কারনে বিষয়টিতে গুরুত্ব না দেয়ায়, নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে আজ। উপজেলার প্রতিটি ইট ভাটায় ৩ থেকে ৪শ শ্রমিক কাজ করে প্রতিদিন। উপজেলায় এরকম ইটের ভাটা রয়েছে ২৩টি। সকল ইট ভাটার যথাযথ বৈধতা আছে কি না, তা নিয়েও রয়েছে জনমনে প্রশ্ন।
ইট ভাটার নির্মান শ্রমিকদের এদের জীবন-যাপনের বাস্তবতা বড়ই কঠিন। তাই এসব শ্রমিকদের সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। এক সংগে গাদাগাদি করে এদের খাওয়-দাওয়া, উঠা-বসা এবং রাত্রি যাপন করতে হয় তাদের। অপরদিকে কাজ বন্ধ হয়ে গেলে পেট চলবে কি ভাবে তাদের এ বিষয়টি নিশ্চিত করা প্রয়োজন বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।
হাতে গোনা কয়েকটি ইটভাটা মালিকের স্বার্থ সংরক্ষণ করতে গিয়ে একদিকে যেমন সরকারের নির্দেশনা উপেক্ষিত হচ্ছে অন্যদিকে রাষ্ট্র করোনা ভাইরাসের হুমকির মুখে রয়েছে।
বিষয়টিতে সরকারের সুদৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন বলে মনে করেন বিজ্ঞজনেরা। অবিলম্বে ইটভাটাগুলো বন্ধ ঘোষনা করে, সংশ্লিষ্ট শ্রমিকদের নিরাপদ গন্তব্য নিশ্চিত করা জরুরী বলে মনেকরেন তারা। অন্যথায় দেশ সহ পুরো উপজেলার জনসাধারণ অপূরনীয় ক্ষতির মুখে পড়তে পারে বলে জানিয়েছেন সচেতন মহল।
/ মোজরলু