বোয়ালখালীতে লকডাউন এলাকা থেকে পালিয়ে আসা দুই পরিবার হোম কোয়ারেন্টিনে
বোয়ালখালী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: চট্টগ্রামে করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসার সন্দেহে বোয়ালখালীর কালুরঘাট বড়–য়া পাড়া ও মধ্যম শাকপুরা এলাকায় দুই পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার নির্দেশনা জারি করে উপজেলা প্রশাসন।
৬ এপ্রিল (সোমবার) দুপুরে গোপন এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী কর্মমর্তা আছিয়া খাতুন। এসময় উপস্থিত ছিলেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) মোঃ মোজাম্মেল হক চৌধুরী, উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ কর্মকর্তা জনাব ডাঃ মোঃ জিল্লুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১৮ বীর ব্যাটেলিয়ন এর ক্যাপ্টেন মুবিন এর নেতৃত্বে সেনাসদস্যবৃন্দ।
চট্টগ্রামের দ্বিতীয় করোনা রোগীর বাস্কেট সিপার শপ এ চাকরি করতেন, সেই প্রতিষ্ঠানে চাকরিরত কালুরঘাট বড়–য়া পাড়ার বকুল বড়ুয়ার ছেলে সানি বড়–য়া বাস্কেট সুপার শপ লক ডাউন করার পর তার গ্রাম বড়–য়া পাড়ায় ফিরে এসে অবাধে এলাকায় চলাফেরা করার গোপন সংবাদ পেয়ে তার বাড়ীতে গিয়ে সত্যতা পাওয়া যায়। পরে উপজেলা প্রশাসন তার বাড়ীর সামনে লাল পতাকা দিয়ে সতর্কতা মূলক ব্যানার লাগানোর নির্দেশ প্রদান কওে পুরো পরিবারকে হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কড়া নির্দেশ দেন।
অন্যদিকে মধ্যম শাকপুরা এলাকার মৃত সৈয়দ কাদের ছেলে সৈয়দ বেলাল চট্টগ্রাম মহানগরীর প্রথম করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত দামপাড়া এর পার্শ্ববর্তী লকডাউন থাকা এলাকা থেকে পুরো পরিবার নিয়ে গত তিন তারিখে বোয়ালখালী চলে আসে। এ পরিবারটিকেও হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কড়া নির্দেশ দেন উপজেলা প্রশাসন।
এ বিষয়ে বোয়ালখালী উপজেল নির্বাহী অফিসার জনাব আছিয়া খাতুন বলেন, যেহেতু চট্টগ্রাম শহরেই করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে তাই আমরা শতভাগ সতর্ক আছি। সন্দেহভাজনদের হোম কোয়ারেন্টিন নিশ্চিতকরণ ও টেস্ট করানোর জন্য তৎপর আছি। আশা করব কেউ এ বিষয়ে কোন তথ্য গোপন করে নিজের পরিবারের এবং সমাজের ক্ষতি করবে না’।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার চট্টগ্রাম নগরীর দামপাড়া এলাকার বাসিন্দা ৬৭ বছর বয়সী এক ব্যক্তির শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ে। এরপর দামপাড়ায় ছয়টি ভবন, নগরীর ডবলুমরিংয়ে একটি ভবন, সাতকানিয়ায় ১২টি ও পটিয়ায় একটি বাড়ি লকডাউন করা হয়। ওই ব্যক্তি নগরীর মেহেদিবাগে বেসরকারি ন্যাশনাল হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছিলেন। ওই হাসপাতালের তিন ডাক্তারসহ ১৮ জনকে কোয়ারেনটাইনে পাঠানো হয়।
/ ইবা