দেশব্যাপীজীবনশৈলীভ্রমণশিরোনামসর্বশেষসব খবর

এক সপ্তাহে ভারত থেকে বেনাপোল দিয়ে আটকে পড়া ২৯৬ জন পাসপোর্টযাত্রী দেশে এসেছে

বিশ্ব জুড়ে করোনা ভাইরাস আতঙ্কে বিদেশ থেকে বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীদের দেশে আসার পর প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখার ঘোষনা দেওয়ার পর বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে ভারত থেকে আসা ২৯৫ জন নারী পুরুষ ও শিশুকে কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে। করোনা ভাইরাসে ভারতে লকডাউন ঘোষণার পর কলকাতাসহ পশ্চিমবঙ্গের বিভিন্ন স্থানে আটকে পড়া এসব বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীরা। পরে বিশেষ ব্যবস্থায় ছোট ছোট দলে এসব বাংলাদেশিরা দেশে ফিরে আসেন।

গত এক সপ্তাহে আটকে পড়া বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীরা চিকিৎসা, ভ্রমন শেষে দেশে ফেরত আসলে তাদের জেলা প্রশাসনের তত্বাবধানে বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টার ও ঝিকরগাছা উপজেলার গাজির দরগাহ নামক একটি মাদ্রাসায় রাখা হয়। ফেরত আসা ২শ‘ ৯৬ জন পাসপোর্ট যাত্রীর মধ্যে ১৯৬ জন পুরুষ, ৮৫ জন নারী ও ১৫ জন শিশু। এদের মধ্যে একজন মৃত ব্যক্তির লাশ এসেছে। তিনি ক্যান্সারের রোগি ছিলেন। ফেরত আসাদের বাড়ি দেশের বিভিন্ন জেলায়। এর মধ্যে ১৪ দিন কোয়ারেন্টাইন শেষ হওয়ার আগে তাদের গায়ে তাপমাত্রা বেশী না থাকায় ১৬ জন নিজ বাড়িতে চলে গেছে। রবিবার বিকেলে ভারত থেকে এ পথে ৫০ জন নারী, পুরুষ ও শিশু বাংলাদেশে ফিরে আসেন।

বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশনের স্বাস্থ্য কেন্দ্রের ডাঃ জাহিদুল ইসলাম জানান, দেশে ফেরা ৫০ বাংলাদেশি যাত্রীকে সতর্কতার সাথে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করে বেনাপোলে পৌর বিয়ে বাড়ি কমিউনিটি সেন্টারে ১৪ দিনের প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে পাঠানো হয়েছে। ফেরত আসাদের শরীরে বেশি তাপমাত্রা পাওয়া যায়নি।

বেনাপোল ইমিগ্রেশন ওসি (তদন্ত) মহসিন কবির বলেন, ভারত থেকে আসা বাংলাদেশি পাসপোর্টযাত্রীদের জেলা প্রশাসনের প্রতিনিধি হিসাবে উপজেলা নির্বাহী অফিসার গ্রহন করছেন এবং এসব যাত্রীদের প্রাথমিক প্রাতিষ্ঠানিক কোয়ারেন্টাইনে রাখা হয়েছে।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার পুলক কুমার মন্ডল বলেন, ভারত থেকে আসা বাংলদেশি পাসপোর্ট যাত্রীদের মধ্যে ১শ‘ ৪৯ জন যাত্রীকে বেনাপোল পৌর বিয়ে বাড়িতে রাখা হয়েছে। বাকি ১৪৭ জনকে ঝিকরগাছা উপজেলার যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের গাজির দরগাহ নামক একটি মাদরাসায় রাখা হয়েছে। এদের খাবার ও চিকিৎসা ব্যবস্থা উপজেলা থেকে করা হচ্ছে। ১৪ দিন পার হলে নিজ নিজ বাড়ি ফিরে যাবে। তবে যদি কারো করোনা সংক্রামক পাওয়া স্বাস্থ্য বিভাগ তাদেরকে উপজেলা ও জেলা হাসপাতালে প্রাতিষ্ঠানিক আইশোলেশনে রাখার ব্যবস্থা করবেন।

অপরদিকে সীমান্ত অঞ্চল বেনাপোলে সরকারি নির্দেশনা লকডাউন সকলে মানছেন না। সেনাবাহিনী পুলিশ একদিকে গেলে সব ফাঁকা হয়ে যায়। আবার অন্যদিকে গেলে ফাঁকা এলাকায় আবার জনসমাগম দেখা যাচ্ছে।

বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি মামুন খান বলেন, আমরা সার্বক্ষনিক মাঠে আছি। তারপরও জনগনকে সচতেন হতে হবে। এবং এলাকার সচেতন মহলেরও বুঝতে হবে ও তাদের সাধারন মানুষকে বুঝাতে হবে।

/ মোজাহো

বেনাপোল (যশোর) করেসপনডেন্ট

Md. Jamal Hossain Mobile: 01713-025356 Email: jamalbpl@gmail.com Blood Group: Alternative Mobile No: Benapole ETV Correspondent

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *