দেশব্যাপীব্যবসা বাণিজ্যজীবনশৈলীস্বাস্থ্য এবং চিকিৎসাশিরোনামসর্বশেষসব খবর

কাওরান বাজারে ব্যবসায়ী করোনা আক্রান্ত, লাউপট্টি আড়ত লকডাউন

কোনো রকম সামাজিক দূরত্ব বজায় না রেখে রাজধানীর কাওরান বাজারে কাঁচাবাজারে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটার জন্য ভিড় করছেন। এরই মধ্যে কাওরানবাজারের একটি আড়ত (লাউপট্টি) বৃহস্পতিবার লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ। আড়তের একজন ব্যবসায়ী ও কর্মচারী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।

বৃহস্পতিবার এই দুইজনের করোনা ভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল পজিটিভ আসায় ওই ব্যবসায়ীর আড়ত ও বাসা লকডাউন করা হয়েছে।

তেজগাঁও থানার ওসি শামীম অর রশীদ বলেন, কাঁচাবাজার আড়তে দুজনের করোনা পজিটিভ আসায় ওই ব্যবসায়ীর আড়ত ও বাসা লকডাউন করা হয়েছে।

করোনা ভাইরাসের লক্ষণ ও উপসর্গ নিয়ে দুজনের নমুনা পরীক্ষা করানোর পর বৃহস্পতিবার জাতীয় রোগতত্ত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানের (আইইডিসিআর) পক্ষ থেকে তাদের করোনা ভাইরাস পজিটিভের তথ্য জানানো হয়।

এরপরই কাওরান বাজারে ওয়াসা ভবনের উত্তর-পূর্ব দেওয়াল সংলগ্ন লাউপট্টির একটি আড়ত লকডাউন করে পুলিশ। করোনায়া আক্রান্ত ওই আড়তের ব্যবসায়ীর বাসা আড়তের পাশে তেজতুরী বাজার এলাকায়। তার বাসাও লকডাউন করে দিয়েছে পুলিশ। আক্রান্ত দুজনের মধ্যে একজন হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন। অপরজন বাসায় থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।

সূত্র জানায়, গত ২৫ মার্চ থেকে সারাদেশে ছুটি ও মার্কেট বন্ধ ঘোষণার পরও কাওরান বাজারে সন্ধ্যা থেকে পরদিন ভোর পর্যন্ত হাজার হাজার মানুষ কেনাকাটা করতে আসেন। কেনাকাটার সময় শ্রমিক, ক্রেতা, বিক্রেতা ও আড়তদাররা সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখেন না। অনেক শ্রমিক মাস্ক ব্যবহার করেন না। আড়তের ভিতর টং ঘর টাইপের চায়ের দোকানগুলোতে শ্রমিকরা গাদাগাদি করে চা পান করেন।

গত ৭ এপ্রিল কাওরান বাজারের একটি ভবনের সিকিউরিটি গার্ড করোনায় আক্রান্ত হয়ে রংপুরে মারা যান। আরেকজন মিনতি করোনায় আক্রান্ত হয়ে বগুড়া মোহাম্মদ আলী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

সকালে কাওরান বাজারে দেখা গেছে হাজার হাজার মানুষের ভিড়। শ্রমিক, ক্রেতা ও বিক্রেতারা কেউই সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরা করেননি। অনেককে মাস্ক ব্যবহার করতে দেখা যায়নি।

এ অবস্থায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশন কাওরান বাজারে নিয়মতান্ত্রিকভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বাজারের কেনাকাটার কাজটি তদারকি করতে পারে।

এ ব্যাপারে ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্যানেল মেয়র জামাল মোস্তফা বলেন, আমরা অনেক চেষ্টা করেছি মানুষকে সচেতন করতে। কিন্তু কেউই তা মানছে না। বাজারটি অন্যত্র সরানোর উদ্যোগ ছিল। কিন্তু মামলাজনিত কারণে তা সম্ভব হয়নি। আমরা চিন্তা ভাবনা করছি, কীভাবে পরিস্থিতি সামাল দেওয়া যায়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *