রায়গঞ্জের ধুবিল ইউনিয়নে অর্থাভাবে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছে অসুস্থ্য সুলতান মাহমুদ।
রায়গঞ্জ উপজেলার সলঙ্গা থানাধীন ধুবিল ইউনিয়নের আমশড়া গ্রামের বাসিন্দা সুলতান মাহমুদ। বিগত ২বছর যাবৎ অজানা রোগে ধুকে ধুকে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন।
পিতৃহারা সুলতান মাহমুদ ২বছর আগেও ছিল কমক্ষম তার উপার্জনে স্ত্রী ২সন্তান ও বিধমাকে নিয়ে সুখের সংসার। এরই মধ্যে নেমে এলো কালো মেঘের মতো অজানা অসুখ। অজ্ঞাত রোগে আক্রান্ত পরিবারের একমাত্র উপার্জনক্ষম সুলতানের চিকিৎসা খরচ বহন করতে পরিবারটি এখন নিঃশ্ব। আত্মীয়-স্বজন সহ প্রতিবেশিরা বিভিন্ন ভাবে সহায়তা করে আসছে।
অদৃশ্য শত্রু করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সরকার সারাদেশে লকডাউন করায় কর্মহীন হয়ে পরেছেন সারাদেশের মানুষ। বাংলাদেশ সরকার গরীব, অসহায়- দুস্থদের মাঝে বিভিন্ন ধরণের ত্রাণ বরাদ্দ দিলেও সেই ত্রাণসহ সকল ভাতাদী থেকে বঞ্চিত হয়েছে সুলতান মাহমুদ ও তার বিধাব মা। সুলতানের পরিবারের অভিযোগ ওয়ার্ডের মেম্বর ইনছাব আলী ও ৩নং ধুবিল ইউনিয়ন চেয়ারম্যান হাসান ইমাম সোহম তালুকদার আশে পাশের মানুষকে ভাতা দিলেও ফিরে তাকাননি সুলতান মাহমুদের পরিবারের দিকে।
সুলতান ও তার বিধাব মা ওয়ার্ড মেম্বর ইনছাব আলীর কাছে গেলেও কোন সেবা পাননি। আবারও মানুষের দারে হাত পেতে কোনো বেলা খেয়ে না খেয়েই অসুস্থ্য সুলতান মাহমুদ মানবেতর জীবন-যাপন করছে। সরকারের কাছে এই অসহায় পরিবারের দাবী যদি কোন আর্থিক সহায়তা বা সরকারী ভাতা প্রদান করা হয় তবে এই মানবেতর জীবন থেকে মুক্তি পায় এই অসুস্থ্য সুলতান মাহমুদের পরিবার।
এবিষয়ে মুঠোফোনে জানতে চাইলে ৩নং ধুবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান হাসান ইমাম সোহম তালুকদার জানান, সুলতান মাহমুদ আমার কাছে আসেনি সরকারি তালিকায় তার নাম না এলে আমি তাকে কিভাবে সহযোগীতা করব। বিষয়টি আপনার মাধ্যমে জানলাম আমি ব্যক্তিগতভাবে তাকে সহযোগীতা করার চেষ্টা করব।
/ মোমই