নাগরপুরে পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত
টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার গয়হাটা ইউনিয়নের সলপাকুটিয়া মোড়ে নাগরপুর আসার পথে পূর্ব শত্রুতার জেরে ব্যবসায়ীকে পিটিয়ে আহত করেছে দূর্বৃত্যরা।
উপজেলার দেউজান শলিল গ্রামের খসরু মিয়ার ছেলে হাবিবুর রহমান (৩৫) ও একই গ্রামের ফজল হকের ছেলে শামিম ৭ মে বৃহস্পতিবার দুপুরে ১লাখ টাকা নিয়ে নিজ বাড়ি থেকে নাগরপুর হয়ে টাঙ্গাইলে যাওয়া সময় আক্রমণের শিকার হয়। সলপাকুটিয়া মোড়ের কাছে রিক্সায় থাকা হবিব ও শামিম কে পিটিয়ে আহত করে ১ লাখ টাকা নিয়ে পালিয়ে যায় ১২-১৩ জনের সন্ত্রাসীরা।
এ বিষয়ে হাবিবুর রহমান এর সাথে কথা বলে জানা যায়, জহির উদ্দিন এর ছেলে মোরশেদ তথ্য দেয় অপেক্ষায় থাকা সন্ত্রাসী দলটিকে। গয়হাটা ইউনিয়নের সলপাকুটিয়া মোড়ে এর কাছে রিক্সায় করে নাগরপুরের দিকে যাওয়ার সময় একদল ছিনতাইকারী রিক্সাটিকে থামিয়ে অতর্কিতে হাবিবকে এলোপাতাড়ি ভাবে মারপিট করে সাথে থাকা টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে মেয়ার চেষ্টা করে। এতে হাবিব তাদের বাধা দিলে তার তাদের সাথে থাকা দেশি অস্ত্র দা, কুড়াল, ছোড়া, লোহার রড় বের করে এবং এলোপাতাড়ি পিটিয়ে ও কুপিয়ে টাকার ব্যাগটি ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়।
এ সময় হাবিবের চিৎকারে এলাকাবাসী ও পথচারীরা এগিয়ে এসো দলের ৪ জনকে হাতেনাতে ধরে ফেলে। আহতদের হাসপাতালে প্রেরনের জন্য অটোরিকশা ডেকে দেন এবং আটককৃতদের নাগরপুর থানা পুলিশের সোপর্দ করে। এরা হলো ভারড়া ইউনিয়নের পচাসারটিয়া গ্রামের আতোয়ারের ছেলে নাছির (২১), আকবর আলীর ছেলে সুজন (১৭), বেল্লাল এট ছেলে আল-আমিন (১৭) ও আকবর আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (১৯)।
পরে, হাবিবুর রহমান এর পক্ষে রফিকুর রহমান নাগরপুর থানায় একটি অভিযোগ দাখিল করা হয়।
অভিযোগের তদন্তকারী অফিসার এসআই মো. শাজাহান বলেন, অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত সাপেক্ষে ৪নং ক্রমিকে একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে এবং আটককৃত ৪ জনকেই বিজ্ঞ আদালতের প্রেরণ করা হয়েছে। এই ঘটনার তদন্ত চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে নাগরপুর থানার অফিসার ইনচার্জ ওসি মো. আলম চাঁদ বলেন, মারপিটের এর ঘটনায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাতে একটি অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে যথাযথ আইনগত পদক্ষেপ গ্রহণ করা হচ্ছে।
/ মোজরলু