নাগরপুরে করোনা মোকাবিলায় সরকারের সহায়তা বিষয়ে ইউএনও’র সংবাদ সন্মেলন
টাঙ্গাইল নাগরপুরের উপজেলা নির্বাহি অফিসার ইউএনও সৈয়দ ফয়েজুল ইসলাম ১১ মে ২০২০, রবিবার সকালে নিজ অফিসে সাংবাদিক উদ্দেশ্য তিনি এসব কথা বলেন।
করোনা মোকাবিলায় টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার ১৩ হাজার ৬ শত পরিবার কে পৌঁছে দেয়া হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে উপহারের খাদ্য সামগ্রী। এর মধ্যে ৬০০ শিশু খাদ্য, বাকি ১৩ হাজার করোনা মোকাবিলায় পরিস্থিতির স্বীকার পরিবার হাতে তুলে দেয় হয়েছে এসব সহায়তার উপহার।
দেশে করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাবের শুরু থেকে আজ ১১মে রবিবার পর্যন্ত ১৩,৬০০ পরিবারের হাতে সরকারের পক্ষ থেকে দেয়া এসব খাদ্য সামগ্রী পৌঁছে দিয়েছে নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন। করোনা মোকাবিলায় সরকারের নির্দেশে উপার্জনক্ষম নিম্ন আয়ের মানুষেরা ঘরে থাকে যখন দিশেহারা হয়ে পড়েছিল, তখন নাগরপুর উপজেলা প্রশাসন ও উপজেলার বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তারা এসব মানুষদের বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দিয়েছে উপহার সামগ্রি। সরকারের উপহার পাওয়া এসব পরিবারের মধ্য রয়েছে কুলি, মজুর, চা দোকানী, বেদে, হিজরা, পরিবহন শ্রমিক, কাঠ মিস্তিরি, আনসার, বুক বাইন্ডার, মৃৎশিল্পী জনগোষ্ঠীর।
এসব উপহার সামগ্রির মধ্যে মূলত গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের বরাদ্দের ১৬২ মেট্রিকটন চাউল, নগদ টাকা ৭,৯০,০০০, শিশু খাদ্যের জন্য ২,২৮,০০০ টাকা থেকে দেয়া হয়েছে। এছাড়াও টাঙ্গাইল -৬ আসনের সাংসদ আহসানুল ইসলাম টিটু মহোদয় এই তহবিলে দিয়েছেন ১৫,৩৬,০০০ টাকা, নাগরপুরের সমাজসেবী আবু সাঈদ দিয়েছেন ৫০,০০০ টাকা এবং আজিজুর রহমান দিয়েছেন ৫০,০০০ টাকা।
এর বাইরেও সমাজের উদারমনা বিভিন্ন ব্যক্তি ও সেচ্ছাসেবী সংস্থা তাদের নিজ উদ্যোগে মানবতার হাতকে প্রসারিত করেছেন উপজেলার হাজারো মানুষের জন্য।
তিনি আরোও বলেন, সরকারের মানবিক সহায়তার এই কার্যক্রম চলমান রয়েছে। আপনাদের যে তথ্য দেয়া হল এটাই আজকে পর্যন্ত পাওয়া সর্বশেষ তথ্য। করোনা ভাইরাস একটি নিরব ঘাতক। তাই আমাদের সকলের উচিত সরকারের নির্দেশান ও স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলে এই মহামারী মোকাবিলা করা। অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে বের না হওয়ার মধ্যমে আমারা এটা প্রতিরোধ করতে পারি। তাই আসুন আমরা সবাই মিলে করোনা মোকাবিলায় নিজেদের আংশগ্রহন নিশ্চিত করি।
/ মোজরলু