দিনাজপুর পৌর মেয়রের বিরুদ্ধে কাউন্সিলরদের সংবাদ সম্মেলন
নানা অনিয়মের অভিযোগ তুলে দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে সংবাদ সম্মেলন করেছেন পৌর কাউন্সিলরা।
আজ সোমবার (০১ জুন) দুপুর ১২টায় দিনাজপুর পৌরসভায় কাউন্সিলরদের কক্ষে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে কাউন্সিলরদের পক্ষে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন পৌরসভার প্যানের মেয়র আবু তৈয়ব আলী দুলাল। তিনি বলেন, দিনাজপুর পৌরসভায় চেইন অব কমান্ড ভেঙ্গে পড়েছে। কেউ কোন নির্দেশনা মানছেনা। পৌর মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম নিজের খেয়াল খুশি মত পৌরসভা চালাতে গিয়ে এ অবস্থার সৃর্ষ্টি করেছেন। গত তিন মাস যাবত মাসিক মিটিং অনুষ্ঠিত হয়নি। সর্বশেষ মাসিক মিটিং শেষ হয়েছে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত ছাড়াই।
করোনা পরিস্থিতিতে মেয়রের যে ভূমিকা থাকার কথা তা দেখতে পায়নি পৌরবাসী। সারাদেশে বিভিন্ন পৌরসভায় জীবানুনাশক ছেটানো হলেও দিনাজপুর পৌরসভায় এরকম কোন কার্যত্রম কারো চোখে পড়েনি। এক ফোটা জীবানুনাশক ওষুধ ছিটানো হয়নি পৌর এলাকায়। পৌরসভায় সামনে হাত ধোওয়ার জন্য পৌর এলাকার বিভিন্ন স্থানে পানির ট্যাংক বসানো হলেও সেখানে পানি ও সাবানের কোন ব্যবস্থা নেই। যা লোক দেখানো মাত্র। অনিময় ও দূনীতির কথা নাইবা বললাম।
গত অর্থ বছরে মশক নিধনের জন্য সরকার কর্তৃক দিনাজপুর পৌরসভায় ১২ লক্ষ টাকা অনুদান দেয়া হয়। সে সময় ঐ টাকা দিয়ে ফোকার মেশিন ও মশক নিধনের ওষুধ কেনা হয়। কিন্তু বর্তমানে ফোকার মেশিন গুলো নষ্ট হয়ে পড়ে আছে। কোন ওষুধ নেই। এ নিয়ে মেয়র সাহেবের কোন আগ্রহও আমরা লক্ষ্য করছি না।
দিনাজপুর শহর এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। যা আপনারা পৌরবাসী প্রতিনিয়ত দেখছেন। এখানে যারা উপস্থিত রয়েছেন তাদের অনেকের বাড়ীর সামনে ময়লা আবর্জনা স্তুপ হয়ে ভাগাড়ে পরিনত হয়েছে। দিনাজপুর পৌরসভা থেকে গত এক বছর যাবত লাইট সরবরাহ নেই। বর্তমানে যতটুকু লাইটিং চোখে পড়ে তা কাউন্সিলররা নিজের অর্থ দিয়ে লাইট কিনে সরবরাহ করছেন। অনেক জায়গা ভূতড়ে অবস্থায় পরিণত হয়েছে।
সরকারী ভাবে ১০২ টন চাউল ও তরিতরকারিসহ আনুসাঙ্গীক জিনিসপত্র ক্রয়ের জন্য ৪ লক্ষ ৯৭ হাজার ৮৭৬ টাকা টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। মেয়র ও কাউন্সিলরবৃন্দের বিশেষ সভায় করে আমরা কাউন্সিলরবৃন্দ নিজেদের উদ্যোগে নিজেদের ২ মাসের সম্মানীর টাকা ও জনগণের জন্য বরাদ্দের ৩ মাসের আর্থিক অনুদানের টাকা একত্রিত করে বাকী টাকা পৌরসভা হতে গ্রহণ করে ৮০ টন চাউল ক্রয় করি।
এই চাল প্রত্যেক ওয়ার্ডের কাউন্সিলরবৃন্দ ৫ টন করে বরাদ্দ নিয়ে জনগণের মাঝে বিতরন করেন। দেশের এই পরিস্থিতিতে আমরা কাউন্সিলরবৃন্দ যে ৫ টন করে চাল ত্রাণ হিসাবে বিতরণ করেছি তা বাংলাদেশে একটি বিরল ঘটনা। দিনাজপুর পৌরসভায় চলমান এডিবির সকল কার্যক্রম বন্ধ। পৌরসভায় বিভিন্ন টেন্ডার কার্যক্রম নিয়ে চলছে অনিয়ম।
সংবাদ সম্মেলনে পৌর কাউন্সিলর রেহাতুল ইসলাম খোকা, মোস্তফা কামাল মুক্তি বাবু, মোস্তাফিজুর রহমান মাসুদ, একেএম মাসুদুল ইসলাম মাসুদ, জাহাঙ্গীর আলম, কাজী আকবর হোসেন অরেঞ্জ, আশরাফুল আলম রমজান, সানোয়ার হোসেন, সংরক্ষিত মহিলা কাউন্সিলর রোকেয়া বেগম লাইজুসহ প্রমুখ কাউন্সিলর উপস্থিত ছিলেন।
/ কুআ