সম্প্রতি লিবিয়ায় ২৬ জন বাংলাদেশীকে গুলি করে হত্যার বিষয়টি সারাদেশে ব্যাপক চাঞ্চল্যর সৃষ্টি করে
উক্ত ঘটনার পর হইতে র্যাব ফোর্সের সদর দপ্তরের নির্দেশক্রমে র্যাব-১২ মানবপাচার চক্র গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি করে। এরই ধারাবাহিকতায় লিবিয়ায় হত্যাকান্ডের সূত্রধরে র্যাব-১২ একটি অপহরণকারী চক্রের সন্ধান পায়।
৩ জুন বুধবার বেলা ১২ ঘটিকার সময় র্যাব ১২ এর কার্য্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে-র্যাভ১২ এর অধিনায়ক লেফঃ কর্নেল মোঃ খাইরুল ইসলাম বলেন-সম্প্রতি বাগেরহাট জেলার সদর উপজেলার চুলকাঠি গ্রামের মোঃ আনোয়ার গাজীর পুত্র লিবিয়া প্রবাসী মুরশিদ গাজী (২৭) সহ বগুড়ার চারমাথার আফসার আলীর ছেলে সাইফুল আলী (২৭) কিছু স্থানীয় বাংলাদেশী ও লিবিয়ান মানবপাচার চক্রের দ্বারা অপহৃত হয়।
অপহরণের পর লিবিয়ায় বাংলাদেশী চক্রের সদস্যরা ছদ্ম নামের ফেইসবুক আইডি ব্যবহার করে ভিকটিম মুরশিদ গাজীর বড় ভাই বেলাল গাজীকে বাংলাদেশী চক্রের মূল হোতা লিবিয়ায় বসবাসরত সোহেল (২৮) ভিকটিমদের নির্যাতনের একটি ভিডিও পাঠায় ও নগদ ৫ লক্ষ টাকা মুক্তিপণ দাবী করে এবং মুক্তিপণ অনাদায়ে মেরে ফেলার হুমকি দেওয়া হয়। ঐ ফেইসবুক আইডির মাধ্যমে লিবিয়ার মূলহোতা সোহেল মুক্তিপণ আদায়ের জন্য তার ছোট ভাই পাথরঘাটা নিবাসি সজল ও নগদের এজেন্ট মোঃ ইদ্রিস আলীর নম্বর প্রদান করে এবং ভিকটিমের বড় ভাইকে মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভিকটিমকে মারধর ও কান্না কাটির শব্দ শোনায়।
ভিকটিম মুরশিদ গাজীর বড় ভাই বেলাল গাজী সজলের সাথে উক্ত নম্বরে কথা বলে ইদ্রিস আলীর নগদ হিসাবের মাধ্যমে মুক্তিপণের ১ লক্ষ ৪০ হাজার টাকা প্রদান করে। একইভাবে সজল ও ইদ্রিসের একাধিক সীম নম্বর ও মোবাইল সেট ব্যবহার করে বগুড়ার চারমাথার আফসার আলীর ছেলে সাইফুল আলী (২৭) এর পরিবারের কাছ থেকেও ৫ লক্ষ টাকা দাবী করে এবং মুক্তিপণ অনাদায়ে মেরে ফেলার হুমকির পরিপ্রেক্ষিতে ভিকটিম সাইফুল আলীর পরিবারও ইদ্রিসের নগদ হিসাবের মাধ্যমে সজলকে ১ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা প্রদান করে।
উক্ত ঘটনার ভিডিও,ফেইসবুক লিংক মোবাইল নম্বর ও নগদ হিসাবের সূত্রধরে র্যাব-১২ উক্ত চক্রকে গ্রেফতারের জোড় প্রচেষ্টা চালায়। এরই ধারাবাহিকতায়, গত ২ জুন রাতে বরগুনা জেলার পাথরঘাটায় অভিযান পরিচালনা করে উক্ত অপহরণকারী চক্রের সক্রীয় ২ সদস্য খাসতবক গ্রামের জাহাঙ্গীর হোসেন এর ছেলে সজল (২৩) ও নাচনাপাড়া গ্রামের ইউসুফ গোড়ামী এর ছেলে ইদ্রিস আলী(৩৬) করতে সক্ষম হয়।
এ সময় তাহাদের হেফাজত হইতে বিকাশ, নগদ,ও মোবাইল ফোনের লোডের ১লাক্ষ ২৬হাজার ৭ শত ৫৮ টাকা ও নগদ ৮,হাজার টাকা, ২৫ টি নগদ,বিকাশ ও ফ্লেক্সিলোডের রেজিষ্টার খাতা, ১১টি মোবাইলসেট ও ২৯টি সিমকার্ড উদ্ধার করা হয়। উক্ত ভিডিওতে দেখানো ভিকটিমদের মধ্যে ভিকটিম মুরশিদ গাজী(২৭)ও সাইফুল আলী(২৭) জীবিত আছে মর্মে নিশ্চিত হওয়া গেছে এবং বাকীদের অবস্থান এখানো জানা যায়নি। তবে অন্যান্য ভিকটিমদের অবস্থান জানা ও বাকী অপরাধীদের গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
/ মোমই