পাবনায় অবৈধভাবে বিক্রি হচ্ছে রেক্টিফাইড স্পিরিট
পাবনায় অবৈধ ভাবে বিক্রি হচ্ছে রেক্টিফাইড স্পিরিট (অ্যালকহল)। যা অনেকে মাদক হিসাবে ব্যবহার করে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পরছে।
ইতোমধ্যে পাবনাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে রেক্টিফাইড স্পিরিট অ্যালকহল পান করে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। আর মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর পাবনা সদর সার্কেল বলছে অবৈধ রেক্টিফাইড স্পিরিট অ্যালকহল ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে তারা। একাধীক স‚ত্র জানায়, পাবনায় একটি চক্র রেক্টিফাইড স্পিরিট (অ্যালকহল)।
অবৈধভাবে আমদানী করে বাজারজাত এবং মাদক সেবীদের কাছে বিক্রি করছে। যা পান করে মারা গেছে অনেকে। আবার একটি চক্র রেক্টিফাইড স্পিরিট (অ্যালকহল) এর সাথে বিভিন্ন ক্যামিকেল ও রং মিশিয়ে নকল মদ তৈরী করে বিদেশী দামী ব্রান্ডের নাম ব্যবহার করে বাজারে বিক্রি করছে। যা পান করে মারা যাচ্ছে অনেকে।
বিভিন্ন স‚ত্রে জানাগেছে, গেল ১২ এপ্রিল ঈশ্বরদীর স্থানীয় এক হোমিও ঔষধ বিক্রেতার কাছ থেকে রেক্টিফাইড স্পিরিট (অ্যালকহল) কিনে পান করে ওহিদুর রহমান সজল ও রাজু হোসেন নামের দুইজনের মৃত্যু হয়। সর্বশেষে গত মে মাসে দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় বিষাক্ত স্পিরিট পানে স্বামী-স্ত্রীসহ ১০ জনের মৃত্যু হয়। তার আগে গত বছরের সেপ্টেম্বর মাসে নোয়াখালীর কোম্পানিগঞ্জ উপজেলায় স্পিরিট পান করে ছয়জনের মৃতু হয়। এর আগে রাজশাহী পবায় দুইজনের মৃত্যু হয়। অসুস্থ হয়ে রাজশাহী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়ে প্রাণে বেঁচে গেলেও তিনি অন্ধ হয়ে গেছেন। তবে দেরীতে হলেও অবৈধভাবে রেক্টিফাইড স্পিরিট (অ্যালকহল) বিক্রেতাদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করেছে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর (পাবনা সদর সার্কেল)।
গত ২৮ মে পাবনা শহরের শালগাড়িয়া এলাকার একটি গোডাউনে অভিযান চালিয়ে অবৈধ ভাবে মজুদকৃত ১৭’শ৫০ লিটার রেক্টিফাইড স্পিরিট (অ্যালকহল) উদ্ধার করে মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তরের একটি দল। মাদক নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর (পাবনা সদর সার্কেরের) ইন্সেপেক্টর আব্দুল মান্নান জানান, পাবনায় রেক্টিফাইড স্পিরিট (অ্যালকহল) আমদানি বা ব্যবহারের জন্য চারটি প্রতিষ্ঠানের অনুমোদ রয়েছে।
শর্ত অনুযায়ী অনুমোদিত প্রতিষ্ঠান রেক্টিফাইড স্পিরিট (অ্যালকহল) বাইরে খোলা বাজারে বিক্রি করতে পারবে না। যদি কোন ব্যাক্তি বা প্রতিষ্ঠান অবৈধ উপায়ে রেক্টিফাইড স্পিরিট (অ্যালকহল) আমদানি করে ব্যবহার বা মজুদ করে। খবর পেলেই সেখানে অভিযান চালিয়ে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হচ্ছে।
/ শেতার