পাবনা সদর থানার ভাঁড়ারায় বৃদ্ধকে গুলি করে হত্যা
আজ শনিবার ভোড় রাতে এই দুই হত্যাকান্ড হয়েছে। নিহত দুইজন হলেন, আতাইকুলা থানার মধুপুর পদ্মবিলা গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে মজনু মিয়া (৪০) ও ভাড়ারা খাঁ পাড়ার মৃত কালু খার ছেলে হুকুম আলী খাঁ (৭০)।
দুই হত্যাকান্ডকে কেন্দ্র করে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। এদিকে করোনাকালে শহরের দিলালপুরে ট্রিপল মাডারের রেশ কাটতে না কাটতেই ওই রাতেই একের পর এক হত্যার ঘটনায় পাবনার মানুষ চরম আতঙ্কিত হয়ে পরেছে। পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, শুক্রবার রাতে পাবনা সদর উপজেলার দোগাছী ইউনিয়নের খাঁ পাড়ার হুকুম আলীর বাড়িতে গিয়ে কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তি তাকে ডাক দেন।
এ সময় ঘর থেকে বাইরে বের হওয়া মাত্র হুকুম আলীকে গুলি করে পালিয়ে যায় দুর্বৃত্তরা। ঘটনাস্থলেই তার মৃত্যু হয়। সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাছিম আহম্মেদ জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনা স্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার ময়না তদন্তের জন্য পাবনা জেনারেল হাপাতাল মর্গে পাঠায়। কারা কি কারণে তাকে হত্যা করেছে সেটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। তবে স্থানীয় একটি সূত্র জানায়, সম্প্রতি হুকুম আলীর নাতী রবিউল ইসলামকে মারধরের ঘটনায় গত ৪ জুন স্থানীয় ১৫ জনকে আসামী করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন হুকুম আলী।
সেই মামলার জেরধরে তাকে হত্যা করা হতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে। এদিকে আতাইকুলা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) শরিফুল ইসলাম জানান,শুক্রবার রাত ১১ টা দিকে আতাইকুলার ধর্মগ্রাম বাজারের একটি চা’র দোকানে আড্ডা দিয়ে বাড়ি ফিরছিল মজনু মিয়া। পথিমধ্যে পেছন থেকে দুর্বৃত্তরা তাকে কুপিয়ে পালিয়ে যায়। এতে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। পাবনা সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইবনে মিজান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, দুটি ঘটনাই এলাকায় আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ঘটেছে।
রাতেই পদ্মবিলার ঘটনায় সন্দেহভাজন তিনজনকে আটক করেছেন পুলিশ। তবে তদন্তের স্বার্থে আটককৃতদেন নাম পরিচয় প্রকাশ করেন নাই তিনি। পরিস্থিতি পুলিশের নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
এদিকে করোনাকালে শহরের দিলালপুরে ট্রিপল মাডারের রেশ কাটতে নাকাটতেই ওই রাতেই একের পর এক হত্যার ঘটনায় পাবনার মানুষ চরম আতংকিত হয়ে পড়েছে।
/ শেতার