করোনা পরিস্থিতি ভয়ানক হচ্ছে চারঘাট উপজেলায়
রাজশাহীর চারঘাটে করোনা ভাইরাস পরিস্থিতি আরও ভয়ানক হয়ে উঠেছে। উপজেলার ৪টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভায় মোট ১১ টি রোগী করোনা শনাক্ত হয়েছে। এ পর্যন্ত কেউ মারা যায়নি। চারঘাট উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র এর স্বাস্থ্য ও প:প: কর্মকর্তা ডা: আশিকুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেন।

উল্লেখ্য যে, গত ২৭ মে চারঘাটের মিয়াপুর গ্রামে আবুল মন্ডলের স্ত্রী ঢাকা ফেরত সাবেরা বেগম (৫০) প্রথম করোনা শনাক্ত হন। পর্যায়ক্রমে পৌরসভার থানাপাড়া গ্রামের মনজুর স্ত্রী মিতু ইয়াসমীন (৩১), ছেলে রিদওয়ান ইসলাম (১২), আক্তার বানু (৬০), উজির আহমেদ (২৮),সরদহ ইউনিয়নের ঝিকরা গ্রামের মুনসুর রহমান (৪৫), শলুয়া ইউনিয়নের মালেকার মোড়ের আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে রেজাউল করিম (৩৪), চারঘাট ইউনিয়নের অনুপম গ্রামের নজেরর ছেলে সুমন (৪৪), রায়পুর গ্রামের একরামুলের ছেলে রমজন আলী (৩৮)। এদের অধিকাংশই উপজেলার বাইরে অর্থ্যাৎ ঢাকা ও গাজীপুর এর পাশ^বর্তী এলাকায় কর্মরত ছিলো বলে জানা যায়।
করোনা ভাইরাস শুরু থেকে প্রশাসনের তৎপরতায় লকডাউন কড়াকড়ি ছিল। মানুষজন অতি প্রয়োজন ছাড়া কেউ বাইরে বের হতো না। তবে লকডাউন শিথীল করা হলে পরে রেডজোন চিহ্নিত ঢাকা ও এর পাশর্^বর্তী জেলাগুলো থেকে অবাধে লোকজন ফেরত আসতে শুরু করে। সরকারী বিধিমালা অনুযায়ী হুম কোয়ারেন্টাইনে থাকার নির্দেশনা থাকলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রে কেউ মানছেন না। অবাধে বিচরণ করছেন পাড়া-মহল্লা, বাজার ও রাস্তাঘাটে। দেখা মিলে না প্রশাসনের নজরদারি। এলাকার সচেতন মহলের ধারনা প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার জন্যই হয়তো ভয়ানক হচ্ছে উপজেলার করোনা পরিস্থিতি। গ্রাম ও ওয়ার্ড ভিত্তিক নাম মাত্র ৫ সদস্য বিশিষ্ঠ করোনা প্রতিরোধ কমিটি থাকলেও চোখে পড়ে না তাদের কোন কার্যক্রম। স্থানীয় প্রশাসন এ বিষয়ে কঠোর না হলে ভয়াবহ বিপর্যয় হবে বলে ব্যক্ত করেন স্থানীয় সচেতন মহল।
এই ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সৈয়দা সামিরা বলেন, করোনা প্রতিরোধ ও জনসাধারনের মাঝে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সহায়ক ভুমিকা পালনের জন্য প্রতিটি গ্রামে ও ওয়ার্ডে নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের সমন্বয়ে করোনা প্রতিরোধ কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এই কমিটির মাধ্যমে অন্য জেলা থেকে ফেরত আসা মানুষদের তথ্য সংগ্রহ করে তাদেরকে হুমকোয়ারেন্টাইনে রাখার ব্যবস্থা করা হচ্ছে। প্রয়োজনে করোনা উপসর্গ থাকলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্ের মাধ্যমে নমুনা সংগ্রহ করে টেষ্টের জন্য রামেক হাসপাতালে প্রেরণ করা হচ্ছে। এছাড়া জনসচেতনতা বৃদ্ধির জন্য বিভিন্ন এলাকায় মাইকিং করা,খাদ্য সামগ্রী ও মাস্ক বিতরণ করা হচ্ছে। সামাজিক দুরত্ব বজায় ও স্বাস্থ্য বিধি অমান্য করে চলাচলার কারনেএবং মাস্ক না পরায় তাদের জরিমান হয়েছে।
প্রশাসনের সমন্বয়হীনতার বিষয়টি জানতে চাইলে উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা বলেন, আমাদেও মধ্যে যথেষ্ট সমন্বয় রয়েছে। জনস্বার্থে আমরা সবাই মাঠ পর্যায়ে কাজ কওে যাচ্ছি। তাই সমন্বয়হীনতার কোন প্রশ্নই উঠে না।
উপজেলা স্বাস্থ্য পঃ পঃ কর্মকর্তা ডা: আশিকুর রহমান বলেন, এই পর্যন্ত উপজেলায় ২ শত ৮৬ জনের নমূনা সংগ্রহ করা হয়েছে তাদের মধ্যে ১১ জনের শরীরে করোনা পভিটিভ পাওয়া গেছে। করোনা পজিটিভ পাওয়া সকলে হুম আইসোলেশানে আছে। প্রতিবেশিদের বাড়ি লকডাউন ঘোষনা করা হয়েছে। বাড়ি থেকে প্রত্যেকের মোবাইল ফোনের মাধ্যমে খোজখবর নেন ও প্রয়োজনীয় চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হচ্ছে এবং তারা সকলে সুস্থ আছে ।
/ নইবা