ঝিকরগাছার সেই বিতর্কিত কাজী ও তার শ্বশুর আটক
যশোরের ঝিকরগাছায় অবশেষে পুলিশের খাঁচায় বন্ধী হয়েছেন বিতর্কিত কাজী মাওলানা একরাম উদ্দীন ও তার শ্বশুর ইব্রাহীম খলিল। কাজী একরাম উদ্দীন উপজেলার নাভারণ ইউনিয়নের কাজী ও করিমআলী আরকে আলিম মাদরাসার মৌলভী শিক্ষক।
রবিবার (১৪ জুন) দুপুরে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও জাল জালিয়াতির মামলায় থানা পুলিশ তাদেরকে আটক করে।
ঝিকরগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, গত বৃহস্পতিবার নাভারণ ইউনিয়ন কাজী মাওলানা একরাম উদ্দীনের শ্বশুর ইব্রাহীম খলিল করিমালী গ্রামের জিন্নাত আলীর মেয়ে ইরানি খাতুন (১৩) নামে ৭ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে উপবৃত্তির কার্ডে স্বাক্ষরের নাম করে ডেকে এনে নাভারন ইউনিয়নের কুন্দিপুর গ্রামের আলমগীর হোসেন ওরফে পাতি আলমের ছেলে বাবলুর রহমানের সঙ্গে জোরপূর্বক বিয়ে দেয়।
শুক্রবার মেয়েটির বাবা জিন্নাত আলী ও তার মা রোজিনা খাতুন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ও থানায় অভিযোগ করেন। ওইদিন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা নাসরিন আখতার সুলতানা ও পুলিশের এসআই এজাজুর রহমানকে তদন্তের জন্য কাজী অফিসে পাঠান। এক পর্যায় তাঁরা কাজী অফিসে তল্লাশি করে বিচারিক আদালতের হাকিম ও নোটারি পাবলিকের সিল, বিপুল পরিমাণ জাতীয় পরিচয়পত্র, জন্মনিবন্ধন ও শুধু বর-কণের স্বাক্ষরিত সাদা স্ট্যাম্প জব্দ করেন। কাজি ও তার শ^শুরকে রোববার থানায় আসতে বলা হয়।
বিষয়টি নিয়ে আজ রোববার থানায় বসা হয়। এক পর্যায় মেয়েটির মা রোজিনা খাতুন বাদী হয়ে থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন ও জাল জালিয়াতির মামলা করেন। এতে পুলিশ বিতর্কিত কাজী একরাম উদ্দীন ও তার শ্বশুর ইব্রাহীম খলিলকে থানা থেকে আটক করে।
এর আগেও ওই কাজী ইকরাম উদ্দিন ও তার শ্বশুর ইব্রাহিম শেখের বিরুদ্ধে বাল্য বিয়ে পড়ানোসহ নানা অভিযোগ ওঠে। তার লাইসেন্স বাতিলের দাবি করেছেন ওই ওয়ার্ডের সাবেক ইউপি সদস্য আব্বাস উদ্দিন ও ওই শিক্ষার্থীর চাচাতো ভাই সাব্বির হোসেন। থানার ওসি আব্দুর রাজ্জাক আরো জানিয়েছেন, মামলা একটি হলেও এর চার্জশীট গঠন হবে দুইটি। একটি নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে অপরটি জাল জালিয়াতির।
/ মোজাহো