দেশব্যাপীব্যবসা বাণিজ্যজীবনশৈলীশিরোনামসর্বশেষসব খবর

বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে শার্শায় মানববন্ধন

প্রস্তাবিত ২০২০-২১ অর্থবছরের বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর বৈষম্যমূলক ট্যাক্স বৃদ্ধির প্রতিবাদে যশোরের শার্শায় মানববন্ধন করেছে দক্ষিণাঞ্চলীয় বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন।

রবিবার দুপুরে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নাভারণ-সাতক্ষীরা মোড়ে এ মানববন্ধন কর্মসুচী পালিত হয়। বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ও কর্মচারী ঐক্য পরিষদের আয়োজনে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বিড়ি শ্রমিক ফেডারেশন দক্ষিণাঞ্চলের আহবায়ক ফজলুর রহমান, মহিলা বিষয়ক সম্পাদিকা মায়া বেগম, সদস্য সাইফুল ইসলাম, আকিমন বেগম, আশাদুল ইসলাম। মানববন্ধনে আকিজ বিড়ি ফ্যাক্টরীর নাভারণ ঝিকরগাছা ও কাশিয়াডাঙ্গার ৫ শতাধিক বিড়ি শ্রমিকরা অংশগ্রহণ করেন।

মানববন্ধনে বক্তারা বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে প্রতি প্যাকেট বিড়িতে ট্যাক্স বৃদ্ধি করা হয়েছে ৪ টাকা। যা শতকরা বৃদ্ধিহারে ২৮ দশমিক ৫৭ ভাগ। অপরদিকে কমদামি সিগারেটের প্রতি প্যাকেটে দাম বৃদ্ধি করা হয়েছে মাত্র ২ টাকা। যা শতকরা বৃদ্ধির হার মাত্র ৫ দশমিক ৪১ ভাগ। অর্থাৎ সিগারেটের চেয়ে বিড়িতে প্যাকেট প্রতি ২ টাকা বেশি এবং শতকরা ২৩ দশমিক ১৬ ভাগ বেশি। এটি বিড়ি শিল্পের উপর চরম বৈষম্যমূলক আচরণ। বিদেশি সিগারেট কোম্পানিকে সুবিধা দিতেই এ বৈষম্য করা হয়েছে। যা দেশীয় শিল্পের সাথে বিমাতা সুলভ আচরণ ছাড়া কিছুই না। দীর্ঘদিন ধরে বিড়ি শিল্প ধ্বংস করার জন্য যে গভীর ষড়যন্ত্র ছিল প্রস্তাবিত বাজেটে তা প্রতিফলিত হয়েছে। এছাড়াও মধ্যম স্তরের সিগারেটের দাম বৃদ্ধি করা হয়নি। পাশাপাশি বেশি দামী সিগারেটে সম্পূরক শুল্ক বৃদ্ধি না পাওয়ায় কোম্পানির আয়ের সীমা বৃদ্ধি পেয়েছে এবং সরকার বেশি ট্যাক্স প্রাপ্তি হতে বঞ্চিত হয়েছে।

বক্তারা আরো বলেন, প্রস্তাবিত বাজেটে বিড়ি শিল্পের উপর যে বৈষম্যমূলক আচরণ করা হয়েছে তা এ শিল্পের জন্য চরম হুমকিস্বরুপ। এর ফলে বিড়ি ফ্যাক্টরীর সংখ্যা কমে যাবে। করোনা পরিস্থিতিতে বেকার হয়ে পড়বে লক্ষ লক্ষ বিড়ি শ্রমিক। যার ফলে শ্রমিকরা করোনায় আক্রান্ত না হয়েও অনাহারেই মৃত্যুর দিকে ধাবিত হবে। এছাড়াও নকল বিড়ি বিক্রি বৃদ্ধি পাবে। সরকার হারাবে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।

বক্তারা তাদের ৬ দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, বিড়ি শ্রমিকদের মজুরী বৃদ্ধি করতে হবে। বিড়ির উপর ট্যাক্স কমাতে হবে। কমদামী সিগারেট ও বেশী দামী সিগারেটের মূল্য বৃদ্ধি করতে হবে। নকল বিড়ির ব্যবসা বন্ধ করতে হবে। ভারতের ন্যায় বিড়ি শিল্পের সুরক্ষা আইন বাস্তবায়ন করতে হবে। কোন ভাবেই করোনা পরিস্থিতি ও ভবিষ্যতেও বিকল্প কর্মসংস্থান তৈরী না করে বিড়ি শিল্পের ক্ষতি করা সমীচিন নয়।

/ মোজাহো

বেনাপোল (যশোর) করেসপনডেন্ট

Md. Jamal Hossain Mobile: 01713-025356 Email: jamalbpl@gmail.com Blood Group: Alternative Mobile No: Benapole ETV Correspondent

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *