বালিয়াকান্দির এসিল্যান্ডের ব্যতিক্রমী বেসিন উদ্ভাবন, চলবে হাতের সংস্পর্শ ছাড়াই
করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব ঠেকাতে সকলকে যখন নিয়মিত ধুতে হচ্ছে হাত তখনই এক ব্যতিক্রমী পরিকল্পনা সামনে আনলেন রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দির এসিল্যান্ড আবু দারদা।

হাতের কোন স্পর্শ ছাড়াই পা প্যাডেলে চলমান একটি বেসিন ডিজাইন ও স্থানীয়ভাভাবে উৎপাদন করেছেন তিনি।
করোনা সংক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকেই বালিয়াকান্দি উপজেলা পরিষদ ও বাজার কমিটির পক্ষ থেকে বালিয়াকান্দির সকল বাজারে ডেকোরেটর থেকে ভাড়া করে বেসিন স্থাপন করা হলেও সেই বেসিন গুলোকে বারবার হাতের সংস্পর্শে আশায় সংক্রমণের ঝুঁকি থেকে যায়। আর বেসিন ভাড়া বাবদ চড়া মূল্য পরিশোধ করতে হয়। সেখান থেকেই তার এই উদ্ভাবনটি।
সোমবার দুপুরে উক্ত বেসিনটি উদ্বোধন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ, উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম, সহকারী কমিশনার(ভূমি) আবু দারদা, বালিয়াকান্দি থানা অফিসার ইনচার্জ একেএম আজমল হুদা।
এসময় উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি জনাব হান্নান মোল্লা বালিয়াকান্দি উপজেলার ৭ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান, বালিয়াকান্দির সকল বাজার বণিক সমিতির সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক।
উদ্ভাবক সহকারী কমিশনার (ভূমি) আবু দারদা জানান, বিভিন্ন বাজারের স্থাপিত বেসিনগুলোতে বারবার হাতের সংস্পর্শ হয়।সেক্ষেত্রে সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি থেকে যাওয়ায় আলাদা কিছু করা যায় কিনা সেব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী অফিসার একেএম হেদায়েতুল ইসলাম স্যার আমাকে জানালে আমি এই প্রজেক্টটি নিয়ে কাজ শুরু করি। একটু আলাদাভাবে চিন্তা করে এই ডিজাইনটি করেছি।
হাতের কোন স্পর্শ ছাড়াই পা প্যাডেলের দ্বারা পানি আসবে ট্যাপে। এই বেসিন দ্বারা মানুষের সংক্রমিত হওয়ার ঝুঁকি নেই বললেই চলে। বেসিনটি স্থানীয়ভাবে স্বল্পব্যয়ে তৈরী করা যায়।
/ আই