বেনাপোল-শার্শায় পিতা-পুত্রসহ ৩ জন করোনায় আক্রান্ত : বাড়ি লকডাউন
যশোরের বেনাপোল ও শার্শায় আরো ৩ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ নিয়ে উপজেলায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ২৮ জন। এর মধ্যে ১২ জন সুস্থ হয়েছেন। বাকিরা বাড়িতে ও হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা নিচ্ছে।
শুক্রবার (১৯ জুন) শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আক্রান্তরা হলেন, বেনাপোল পৌরসভার কলেজ পাড়া এলাকার আনোয়ার হোসেন ও তার পুত্র সুমন। এবং শার্শার সাতমাইল পল্লী বিদ্যুৎ অফিসের নৈশপ্রহরী মোজাফফর আলী।
শার্শা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাক্তার ইউসুফ আলী জানান, তাদের নমুনা সংগ্রহ করে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ল্যাবে পাঠানো হয়। এতে তাদের ৩ জনের নমুনায় করোনা শনাক্ত হয়েছে। তাদেরকে হোম কোয়ারেন্টাইনে রেখে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। তাদের বাড়ি লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।
এদিকে বেনাপোল পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডকে রেড জোন ঘোষণা করা হয়েছে। ফলে ওই এলাকা এখন লকডাউনের আওতায় রয়েছে। বৃহস্পতিবার বিকেলে এলাকাটিকে রেড জোনে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। যশোরের সিভিল সার্জন ডা. শেখ আবু শাহীন জানান, বেনাপোল পৌরসভার তিন নম্বর ওয়ার্ডের জনসংখ্যা প্রায় সাত হাজার। এখানে দুইজন করোনা রোগীর বসবাস।
বেনাপোল পৌরসভার মেয়র আশরাফুল আলম লিটন জানান, এই ওয়ার্ডের মাঠের মধ্যে একটি বাড়িতে দুইজন করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছেন। বাড়িটি ইতিমধ্যে লকডাউন করা হয়েছে। তিন নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যেই তার পৌরসভার কার্যালয়। এছাড়া এই ওয়ার্ডে বেনাপোল কলেজ, মহিলা ফাজিল মাদরাসা, কমিউনিটি সেন্টার, দশ শয্যার একটি মাতৃস্বাস্থ্য কেন্দ্র, হরিদাস ঠাকুরের পাটবাড়ি আশ্রমসহ অনেক অফিস ও গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসা কেন্দ্র রয়েছে।
প্রথম দফায় যশোর জেলার যে ১৭টি এলাকাকে রেড জোনভুক্ত করা হয়েছিল, তার মধ্যে বেনাপোল পৌরসভার দুই নম্বর ওয়ার্ড ছিল। এখন রেড জোন ঘোষিত তিন নম্বর ওয়ার্ড লকডাউন করেছে উপজেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটি। এর আগে শার্শা ইউনিয়নের ৪টি এলাকা লকডাউন করা হয়। কিন্তু এইসব অঞ্চলে জীবনযাত্রা স্বাভাবিক রয়েছে। লকডাউনের কোনো চিহ্ন এসব জায়গায় দেখা যাচ্ছে না বলে স্থানীয়রা জানান।
/ মোজাহো