ইতিহাসে কালের সাক্ষী পাহাড়পুর বৌদ্ধবিহার
আকর্ষনীয় স্থাপত্য, বিশাল আয়তন ও ঐতিহাসিক গুরুত্বের জন্য নওগাঁর পাহাড়পুর বৌদ্ববিহার দক্ষিণ এশিয়ার অন্যতম ও প্রাচীন সংস্কৃতিক ঐতিহ্য হিসেবে স্বীকৃত। এটি বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় ও ঐতিহাসিক বিহার। ১৯৮৫ সালে ইউনেস্কো বিহারটিকে বিশ্ব ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান দেয়। ঐতিহ্যবাহী এই বিহারের আদি নাম সোমপুর চাঁদের পাহাড় মহাবিহার। বিহারটি নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলা হতে প্রায় দশ কিলোমিটার উত্তরে অবস্থিত….আরোও জানাচ্ছেন আমাদের নওগাঁ প্রতিনিধি আমিনুল জুয়েল
ইতিহাসবিদদের মতে, অষ্টম শতাব্দীর শেষের দিকে পাল বংশের দ্বিতীয় ও শ্রেষ্ঠ রাজা এ বিহারটি তৈরী করেছিলেন। এছাড়াও তিনি আরও ৫০টির বেশী বিহার নির্মাণ করেন। প্রধান বিহারটি একটি খোলা চত্বরের মধ্যখানে অবস্থিত যার চার বাহুতে ১৭৭টি ভিক্ষুকক্ষ ছিল।
১৮৭৯ সালে স্যার কানিংহ্যাম এই বিশাল কীর্তি আবিস্কারের পর ১৯২৩ সাল পর্যন্ত সময়ের খননের ফলে বিভিন্ন প্রস্তর লিপি, ভাস্কর্য, পোড়ামাটির ফলক, ইট, বিভিন্ন ধাতব দ্রব্যাদি, রৌপ্য মুদ্রা, মাটির বিভিন্ন পাত্রসহ প্রচুর প্রত্ন নিদর্শন পাওয়া যায় যা বর্তমানে বিহারের যাদুঘরে সংরক্ষিত রয়েছে।
বিহার চত্বরের মাঝখানে একটি প্রধান মন্দির ছিল। যা ধর্ম শিক্ষা, সাধারণ শিক্ষা, জোতির্বিদ্যা, শিল্পকলা, সংস্কৃতি ও জ্ঞান বিজ্ঞানের নানাবিধ শাখার গবেষণা ও চর্চার গুরুত্বর্পূণ কেন্দ্র হিসেবে সমাদৃত ছিল। বৌদ্বপন্ডিত শীল ভদ্র ও অতীশ দীপঙ্কর এখানে শিক্ষা দান করেছিলেন।
/ আজু