দেশব্যাপীআইন- আদালতপরিবেশ ও সমাজজীবনশৈলীশিরোনামসর্বশেষসব খবর

নড়াইলে অসহায় মায়ের সংবাদ সম্মেলন

নড়াইলের পুলিশ প্রশাসনের কাছে প্রকৃত সত্য ঘটনা তদন্তের জন্য দাবি জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন এক অসহায় মা মিসেস মিল্লাত আরা মিলু।

রবিবার শহরের দক্ষিন নড়াইলের নিজ বাসভবনের সামনে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। লিখিত অভিযোগে তিনি সাংবাদিকদের জানান,আমার ছেলে যুবায়ের ২০১৯ সালের প্রথম দিকে নগদ ও রবি সিম রেজিষ্ট্রশনের প্রজেক্টে কাজ করতো। কাজ বন্ধ থাকায় ঐ বছরের জুন মাসে সুমন নামের এক ছেলে কাজ দেবার কথা বলে নিয়ে যশোরে একটি ট্রেনিং করিয়ে ২টা ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন দিয়ে দেয় ও আরো ২টা ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে কাজ করতে বলে এবং ভালো একটা মোবাইল কিনতে বলে।

সুমনের কথায় ১৪ হাজার টাকা দিয়ে স্যামসাং মোবাইল কিনে যুবায়ের তার বন্ধু সোহান ও আররাফ কে নিয়ে উক্ত ফিঙ্গার মেশিন দিয়ে আইডি কার্ড ও ফিঙ্গার প্রিন্ট দিলে সাবান দেওয়ার শুরু করে। এক পর্যায়ে যুবায়েররা জানতে পারে সুমনরা সাবান দেওয়ার আড়ালে মোবাইল সিম রেজিষ্টেশন করছে।

তখন তারা কাজ বন্ধ করে পুলিশ সুপারের কাছে উক্ত বিষয় খুলে বললে পুলিশ সুপারের নির্দেশে থানায় জিডি করে রেজিষ্টেশনকৃত মোবাইল সিম গুলো বাতিল করে এবং ডিবি এসে ফিঙ্গার প্রিন্ট মেশিন ২টা নিয়ে যায়। এর তিন মাস পরে এক ডিবি পুলিশ যুবায়েরকে ফোন করে থানায় ডেকে নিয়ে আটক করে উক্ত স্যামসাং মোবাইলটা নিয়ে সাইবার ক্রাইমে ৮জনের নামে মামলা দেয়।

উক্ত মামলার ১ নম্বর আসামী সুমন, যুবায়ের কে বলে তাদের জামিনের ব্যবস্থা ও ক্ষতিপুরন দিবে। পুলিশের কাছে জবানবন্দিতে সুমন বলে আমি যুবায়ের,আররাফ,সোহানদের কাজ দেই কিন্তু মোবাইল সিম রেজিষ্টেশনের কথা বলিনি। সেই সুবাদে ২ মাস পর যুবায়েরের জামিন করানো হয়। আসামী সুমন ও সোহান জেলে থাকে। গত বৃহস্পতিবার ২৫ জুন সুমনের জামিন হলে জেলগেটে যুবায়ের দেখা করতে গেলে সুমন আমাদের বাসায় আসে। সুমনের কাছে কোন ফোন না থাকায় আমার ছেলে যুবায়েরের মোবাইল ফোন দিয়ে সুমন তার বাড়িতে এবং তার পরিচিত কয়েকজনকে ফোন করে। পরে শুক্রবার ভোর রাতে সদর থানা পুলিশ আমাদের বাড়ী থেকে সুমনকে নিয়ে যায় এবং যুবায়েরকে গ্রেফতার করে। পরে যুবায়ের সহ ৪জনের নামে সুমনকে অপহরনের মামলা দায়ের করা হয়

আমার ছেলে যদি অপহরন করবে তাহলে তার নিজ নামের রেজিষ্টেশনকৃত সিম দিয়ে ফোন কেন করবে ? এবং আমার বাড়িতে সুমনকে কেন রাখবে ? বা আমার বাড়ির ঠিকানা দিয়ে কেনইবা আসতে বলবে ? তাই আমি আপনাদের মাধ্যমে পুলিশ প্রশাসনের কাছে বিনীত অনুরোধ করছি সত্য ঘটনা তদন্ত করে আমার নিষ্পাপ ছেলে যুবায়েরের নিঃশর্ত মুক্তি জন্য।

/ শুস

নড়াইল ডিষ্ট্রিক্ট করেসপনডেন্ট

Goutam kumar sarkar (Shuvo) Father: Kamalesh Chandra Sarkar. Mother: Ava Rani Sarkar. Date of birth : 14/08/1992. National ID No: 19926515231000065. Cell: +8801617-428342/ 01736926888 shuvosarkar140891@gmail.com BA Pass (3 years) Present Address Village: Kurigram, PO: Ratangonj, PS: Narail Sadar, Narail

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *