এক্সপ্রেস ট্রেনে শুকনো মরিচ এলো বেনাপোলে, নতুন উদ্যোগ ভারতীয় রেলের
এই প্রথমবার স্পেশাল পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেনে করে বেনাপোল এলো শুকনো মরিচ। অন্ধ্রপ্রদেশের গুন্টুর থেকে রানাঘাট জংশন হয়ে বেনাপোল পর্যন্ত ১৩৭২ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করে শুকনো মরিচ নিয়ে এসেছে বিশেষ ট্রেনটি।
ট্রেনটি ভারতের রানাঘাট জংশন থেকে আজ সকাল ৮ টায় ছেড়ে সাড়ে ১১টায় বেনাপোল পৌছায়। প্রথম দিন ১৮টি লাগেজ ভ্যানে আনা হয়েছে ৩৮৪ মেট্রিক টন শুকনা মরিচ। পণ্য চালানটির আমদানিকারক রাফসান ট্রেডার্স, সাতক্ষীরা ও হাফিজ কর্পোরেশন, ঢাকা। বেনাপোলের আলম এন্টারপ্রাইজ ও মোশারেফ ট্রেডার্স সিএন্ডএফ এজেন্ট ছাড় করাচ্ছে।
বেনাপোল কাস্টম হাউসের কমিশনার আজিজুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, যাতে দ্রæত পণ্য চালনটি শুল্কায়ন করে ছাড় দেওয়া হয় সেই জন্য কাস্টম কর্মকর্তারা কাজ করেছে।
দীর্ঘ দিন ধরে বাংলাদেশ-ভারতের মধ্যে ৪২টি বিসিএন ওয়াগনে গুডস ট্রেন চলাচল করছে। কিন্তু ছোট বা কাঁচামাল আমাদানিকারকদের গুডস ট্রেনে মালামাল আনা সম্ভব হচ্ছিল না। অপরদিকে সড়ক পথে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে আমদানি-রফতানিতে নানা সমস্যা সৃস্টি হচ্ছিলো। সে কারণে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি সচল রাখতে এ স্পেশাল পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন বা লাগেজ ভ্যান চালু করা হচ্ছে বলে রেলের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশের রেলপথ মন্ত্রী নূরুল ইসলাম সুজন বলেন, আমদানিকারকদের চাহিদার ভিত্তিতে ইন্ডিয়ান পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেন নিয়মিত চলাচল করবে। তবে প্রথম আসছে বলে এ ইন্ডিয়ান পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেনের নির্দিষ্ট সময় নির্ধারণ করা হয়েছে। কিন্তু পরবর্তিতে উভয় দেশের ট্রেনের ট্রাফিক বিভাগের কর্মকর্তারা আলোচনা করে চলাচলের সময় নির্ধারণ করবেন।
বাংলাদেশ রেলওয়ে অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপচিালক (ট্রাফিক) মিয়াজাহান বলেন, করোনার প্রাদুর্ভাবের কারণে ভারতের সাথে আমদানি-রফতানি সাময়িক বন্ধ রাখার পরে চালু করার হলেও সড়ক পথে সমস্যা হচ্ছিল। এসময় ভারতীয় হাইকমিশনের সাথে ভিডিও কনর্ফান্সের এ পার্সেল ট্রেন চালানোর প্রস্তাব করে। বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সম্মতি দেয়া হয়।
উল্লেখ্য অল্প পরিমাণে পণ্য রেল পথে পাঠানো যায় না। পণ্যবাহী ট্রেনে শুকনো মরিচ পাঠাতে হলে ব্যবসায়ীদের প্রতিবার কমপক্ষে দেড় হাজার টন করে পাঠাতে হবে। তাই ভারতীয় রেল কর্তৃপক্ষ পণ্যবাহী ট্রেনের বদলে স্পেশাল পার্সেল এক্সপ্রেস ট্রেনের ব্যবস্থা করেছে। যাতে করে বাংলাদেশে ৫০০ টন করেও প্রতিবার শুকনো মরিচসহ অন্যান্য পণ্য বেনাপোলে আনা যাবে। এতে খরচও কম পড়বে।
/ মোজাহো