কুড়িগ্রামে বন্যা পরিস্থিতির ব্যাপক অবনতি
কুড়িগ্রামে ভারি বর্ষণ আর পাহাড়ি ঢলে অস্বাভাবিক ভাবে বাড়ছে নদ-নদীর পানি। এতে ফের বন্যায় বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে চর-দ্বীপ চরের লাখো মানুষ। গত সপ্তাহে প্রথম দফা বন্যার ধকল কাটতে না কাটতেই আবারো অস্বাভাবিকভাবে পানি বাড়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন মানুষ। নিরাপদে থাকতে বাঁধ ও উঁচু স্থানে আশ্রয় নিয়েছেন।
১৩ জুলাই বিকেল ৩টায় ধরলার পানি বিপদসীমা ৯৪ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে, ব্রহ্মপুত্রের পানি চিলমারী পয়েন্টে বিপদসীমার ৬২ সেন্টিমিটার এবং তিস্তার পানি কাউনিয়া পয়েন্টে বিপৎসীমার ১৫ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
সরেজমিনে, কুড়িগ্রাম সদর উপজেলার পাঁচগাছী, যাত্রাপুর, ভোগডাঙ্গা, হলোখানা ও ঘোগাদহ ইউনিয়নের ধরলা তীরবর্তী বাসিন্দাদের সাথে কথা হলে তারা জানান, বন্যার কারণে প্রায় ১৫ দিন থেকে বাঁধে বসবাস করছি। অপরদিকে কাজ-কাম নাই। খুব কষ্টে দিনাতিপাত করছি। এখন পর্যন্ত সরকারি কোন ত্রাণ সহযোগিতা পাই নাই। মেম্বার-চেয়ারম্যানরাও কোন সাহায্য দেয়নি।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আরিফুল ইসলাম জানান, আবহাওয়ার পূর্বাভাস অনুযায়ী ভারি বৃষ্টিপাত হওয়ায় জেলার সবক’টি নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে।
কুড়িগ্রাম জেলা প্রশাসক মো. রেজাউল করিম জানান, এরই মধ্যে বন্যা পরিস্থিতি মোকাবিলায় সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করে জেলা ও সব উপজেলার কর্মকর্তাদের প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
/ খাইইঈ