নড়াইলে ঠিকাদারের ইচ্ছায় নিম্ন মানের ইট দিয়ে চলছে মুলিয়ার একটি সড়কের কাজ
নড়াইল সদর উপজেলার মুলিয়া ইউনিয়নের একটি রাস্তায়ইটের সলিং দিয়ে নির্মাণের কাজে ব্যাপক অনিয়ম দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
সড়ক নির্মাণের ঠিকাদারের ইচ্ছায় সলিং এ-র কাজে নিম্ম মানের ইট ব্যবহার করা হচ্ছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, মুলিয়া বালিয়াডাঙ্গা গোপাল হাজরার বাড়ি হতে বনগ্রাম ব্রীজ পর্যন্ত রাস্তা নির্মাণের কাজ ঠিকাদার দিয়েশুরু হয়েছে। মুলিয়া কোড়গ্রাম সুইচগেট হতে ঠাকুর বাড়ি পর্যন্ত ইটের সলিং নির্মাণ ও মুশুড়িয়া রবীন সরকারের বাড়ির সামনের মন্দির হতে অমলহাজরার বাড়ি অভিমুখে ইটের সলিং নির্মাণের ১৪শ মিটার রাস্তা যার প্রস্থ ৩ মিটার।
মোট ২৩ লক্ষ ৩৯ হাজার ৫ শত টাকা ব্যায়ে রাস্তায় ইটের সলিংনির্মাণ কাজ চলছে। এ কাজে নিম্ন মানের ইট ব্যবহার করায় এলাকার জনমনে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে।
এ সড়ক নির্মাণের কাজ পেয়েছেন দি আল হাদিস ইনঞ্জিনিয়ার্স। যার প্রোপাইটর মোহিষ খোলা গ্রামের মোঃ আল হাসিব ওরফে দুখু। এলাকাবাসী জানান, নিম্মমানের ইট দিয়ে কাজ করায় তারা কাজে বাঁধা দেয়।কিছু দিন কাজ বন্ধ থেকে পুনরায় আবার এ কাজ শুরু হয়েছে।
হিন্দু এলাকা হওয়ায় প্রভাবশালী এ ঠিকাদারের বিমুখ খুলতে সাহস পাচ্ছেন না এলাকার লোকজন। মুলিয়া ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ অধিকারী বলেন, নিম্ন মানের ইট দিয়ে সড়কটিতে ইটের সলিংয়ের কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন ঠিকাদার আল হাসিব দুখু আরো বলেন, এটা হচ্ছে ত্রাণমন্ত্রালয়ের কাজ যখন নিম্নমানের ইট নিয়ে আসে ঠিকাদার তখন তাকে আমরা বলছি ভালো ইট দিয়ে রাস্তাটা করেন।
ঠিকাদার কখনো ভালো ইট আনে কখনোও খারাপ ইট আনে তখন আমি যে দায়িত্ব আছে পিআইও উনাকে বললাম উনি নিজেও এসে দেখে গেছে তবে কন্টাকটার বলেছে এই ইট দিয়ে কাজ করা যাবে না তার পরেও ঠিকাদার রাবিশ ইট দিয়ে কাজ করেন আমাদের কোন কথা শোনেনি। বিশিষ্ট সমাজ সেবক আলহাজ্ব খান মো: কবির হোসেন বলেন, কাজের মান এত খারাপ সলিংয়ের ইটগুলি এত ফাঁকা বসানো হয়েছে যা হেটেও যাওয়া যায় না।
এলাকার লোক জন বলেন, কাজের মান খারাপ হওয়ায় সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। কিন্তু কোন ফল হয়নি।এ বিষয়ে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা সৈয়দ মোঃ আজিম উদ্দিন বলেন, এ বিষয়ে মৌখিক অভিযোগ পেয়েছি। নিম্ন মানের ইট দিয়ে কাজ করা হলে তদন্ত পূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান।
/ শুস