খোকসা্ উপজেলায় সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি
খোকসা (কুষ্টিয়া) প্রতিনিধি: খোকসা্ উপজেলায় জলাসয়ে রাস্তাযাটে বাসা বাড়িতে সাপের উপদ্রব বৃদ্ধি পেয়েছে।
কুষ্টিয়া জেলার খোকসা উপজেলায় জলকেলিতে লিপ্ত হচ্ছে কয়েক জোড়া সাপ। এ দৃশ্য বিরল।
খোকসা উপজেলার জদুবায়রার রসুলপুর গ্রামে সপ্তাহখানেক ধরে জোড়ায় জোড়ায় সাপ জলকেলিতে লিপ্ত হচ্ছে।
এতে মানুষ ঐ খালের পাড়ের জমিতে যেতে ভয় পাচ্ছে। এ গ্রামের এক পাশ দিয়ে গেছে খাল। খালের দুপাড় জঙ্গলে ও কৃষি জমিতে পরিপূর্ণ।
গ্রামবাসি মতিন মিয়া জানান, দুপুরের দিকে জঙ্গল থেকে সাপ বের হয়ে জোড়া বেঁধে জলকেলিতে লিপ্ত হচ্ছে। পানিতে দেড়-দুুই ফুট উঁচু ফনা তুলে খেলতে থাকে, হিস হিস শব্দ করে। কয়েক ঘণ্টা ধরে তারা জলকেলি করে। তারপর জঙ্গলে ঢুকে যায়। সাপ একই জায়গায় পানিতে জলকেলিতে লিপ্ত হচ্ছে।
আকামউদ্দিন জানান, এছাড়াও গ্রামে ডাঙ্গায় জঙ্গলের ধারে সাপে শঙ্খ ধরছে। পুরুষ ও মেয়ে সাপের মিলনকে গ্রামের মানুষ শঙ্খ ধরা বলে থাকে। কয়েক ঘণ্টা ধরে খেলা করে।
মানুষ দূরে দাঁড়িয়ে দেখছে। ঐ এলাকায় মাঠে কাজ করতে যেতে ভয় পাচ্ছে চাষিরা।
প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের খোকসা উপজেলা কর্মকর্তা জানান, বর্ষাকাল সাপের প্রজনন সময়। এ সময় সাপের শরীরে হরমনের পরিবর্তন হয়।
দৈহিক মিলনের জন্য সাথি খোঁজে। সাথি পেলে মিলনে লিপ্ত হয়। লোকালয় থেকে দূরে নির্জন জায়গায় পানি ও ডাঙ্গায় তারা মিলনে লিপ্ত হয়। এ সময় সাপ হিংস্র হয়।
বিরক্ত করলে ছুটে এসে কামড়ে দেয়। তিনি সাপ থেকে দূরে থাকতে গ্রামবাসীকে পরামর্শ দেন।
আবু বক্কর সিদ্দিক (৬০) নামের এক ব্যক্তি বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। মৃত আবু বক্কর পেশায় একজন কৃষক এবং উপজেলার যদুবয়বা ইউনিয়নের রসুলপুর গ্রামের বাসিন্দা।
জানা যায়, প্রায় এক বছর পূর্বে নিহতের কন্যা ময়না (১১) ও দুই বছর পূর্বে তার স্ত্রী নুরজাহানের একই ঘরে সাপের কামড়ে মৃত্যু হয়েছিল।
প্রতিবেশীরা জানান, প্রতিদিনের মতই মঙ্গলবার রাতে নিহত আবু বক্কর ঘুমিয়ে পড়লে রাত ১১টার দিকে তার গলায় কামড় দেয় সাপ। এসময় তিনি নিজেই সাপটিকে ধরে মাটিতে আছাড় মেরে হাতপাখা দিয়ে আঘাত করলে সাপটি দুর্বল হয়ে যায়।
পরে প্রতিবেশীরা ছুটে এসে সাপ ও নিহত বক্করকে স্থানীয় মন্টু সাপুড়িয়ার বাড়িতে নিয়ে যায়। সাপুড়িয়া আবু বক্করকে পরীক্ষা করে বলেন তার আর কিছু করার নেই। পরে তাকে মোটরসাইকেল যোগে কুষ্টিয়া সদর হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় রাতেই তার মৃত্যু হয়।
নিহতের ভাই ইউপি সদস্য মতিয়ার রহমান জানান, রাতে শুয়ে থাকা অবস্থায় সাপে কামড় দিলে সাপ ও নিহত আবু বক্করকে প্রথমে সাপুড়িয়ার বাড়িতে এবং পরে হাসপাতালে নেয়া হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
/ জুখা