যবিপ্রবির সেই নৈশপ্রহরীর বিরুদ্ধে মামলা, বরখাস্তের পর তদন্ত কমিটি গঠন
সোমবার যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (যবিপ্রবি) সেকশন অফিসার ও কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসানের অফিস কক্ষে তান্ডব ও লাঞ্ছিতের ঘটনায় নৈশপ্রহরী বদিউজ্জামান বাদলসহ ৬ জনের মামলা হয়েছে।
পুলিশ তাকে আটকের পর মঙ্গলবার যশোরের অতিরিক্ত চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠায়। তাকে জামিনের আবেদন করা হলেও বিচারক মোহাম্মদ আকরাম হোসেন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
এদিকে, এই ঘটনায় বাদলকে সাময়িক বরখাস্ত ও শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. ইকবাল কবির জাহিদকে প্রধান করে তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
কমিটির অন্য দুইজন হলেন কর্মকর্তা সমিতির সভাপতি প্রধান প্রকৌশলী হেলাল উদ্দিন পাটোয়ারী পিইঞ্জ ও কর্মচারী সমিতির সভাপতি এসএম সাজেদুর রহমান জুয়েল। ১৫ কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়া নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভুক্তভোগী কর্মকর্তা সমিতির সাধারণ সম্পাদক এ টি এম কামরুল হাসানের দায়ের করা মামলায় বাদল ছাড়াও অন্য আসামিরা হলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের এস্টেট শাখার মালী মোস্তাফিজুর রহমান মোস্তাক. ট্রেজারার দফতরের অফিস সহকারী আরিফুল ইসলাম শাহীন), রেজিস্ট্রার দপ্তরের সেকশন অফিসার শাহিন হোসেন, ইকবাল হোসেন ও রেজিস্ট্রার দফতরের ডেসপাস রাইডার ইমরান হোসেন।
সোমবার মামলা হওয়ার আগেই সাজিয়ালী ফাঁড়ি পুলিশের হাতে ঘটনাস্থল থেকে বাদল আটক হয়।
এই বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড.আনোয়ার হোসেন সাংবাদিকদের জানান, তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর বাদলের বিষয়ে পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ইতিমধ্যে ভুক্তভোগী কর্মকর্তার মামলায় তিনি আটক হয়ে জেলহাজতে রয়েছেন।
উল্লেখ্য, সোমবার দুপুরে ভাইস চ্যান্সেলরের সাথে কর্মকর্তা ও কর্মচারী সমিতির মিটিং শেষে ৫ তলায় নিজ কক্ষে চিঠি লেখার জন্য কর্মকর্তা সমিতির কয়েকজনকে নিয়ে অবস্থান করছিলেন কামরুল হাসান।
এসময় বাদলসহ কয়েকজন কর্মকর্তা কর্মচারী কক্ষে গিয়ে চেয়ার টেবিল ভাংচুর করাসহ তান্ডব চালায়।
তারা কামরুল হাসানকে খুন করার হুমকি দেয়।
/ বিহো