প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বাড়ি পেল ২৮ গৃহহীন পরিবার
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে দারিদ্র সীমার নিচে বসবাস করা ২৮টি পরিবারকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া টিনের ঘর হস্তান্তর করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রীর পক্ষ থেকে এমন উপহার পেয়ে নওগাঁর আত্রাই উপজেলার এসব ছিন্নমূল পরিবার যেন আনন্দে আত্বহারা।
এখন তাঁদের চোখে মুখে বইছে আনন্দের জোয়ার।
প্রধানমন্ত্রীর এমন ব্যতিক্রম উদ্যোগ তাঁদের মনে বেঁচে থাকার আশার আলো জাগিয়েছে।
বন্যার স্রোতে ব্রীজের উইংওয়াল ভেঙে ট্রেন চলাচল ঝুঁকিতে
জানা গেছে, ২০১৮-১৯ অর্থবছরে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আশ্রযয়ন প্রকল্প-২ এর আওতায় হতদরিদ্র-অসহায় গোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে
ইউএনওর তত্ত্বাবধানে ওই উপজেলায় ২৮টি টিনের বেড়া টিনের ছাউনি পাকা মেঝের গৃহ নির্মাণ করা হয়।
প্রতিটি বাড়িতে রয়েছে চৌচালা টিনের ছাউনির একটি ঘর, যার দৈর্ঘ্য ১৬ ফুট এবং প্রস্থ ১০.৬ ফুট।
প্রতিটি ঘরে একটি করে প্লেনশীটের দরজা ও দুটি করে জানালা আছে।
ঘরের একপাশে রয়েছে টয়লেট। এতে বরাদ্দ ধরা হয় ২৮ লাখ টাকা।
‘আমার দুই মেয়ে মারা যাওয়ার পর দশ মাসের ছেলে রেখে আমাকে স্বামী তালাক দেয়।
জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ উপলক্ষে নওগাঁয় মাছের পোনা অবমুক্ত
শুনেছি অন্য জায়গায় সংসার করছে। অনেক দিন রেল লাইনের ধারে খুপড়ি ঘর করে মানুষের বাড়ীতে কাজ করে সংসার চালাতাম।
ঝড়-বৃষ্টিতে ওই খুপড়ি ঘরের পলিথিন উড়ে যেত। আবার চাল গড়িয়ে পানি পড়ত।
সারা রাত চোখে ঘুম আসতো না ভয়ে। অনেকে রাতে ওই খুপড়িতে ঢিল ছুঁড়তো’, কথাগুলো বলছিলেন উপজেলার পাঁচুপুর ইউনিয়নের মোল্লাপাড়া গ্রামের সুবিধাভোগী ছামিনা।
তিনি আরও বলেন, কখনো স্বপ্নেও ভাবিনি পাকা বাড়িতে ঘুমাতে পারব।
কিন্তু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেই স্বপ্ন পূরণ করেছেন। এখন খেয়ে না খেয়ে এক ছেলেকে নিয়ে পাকা বাড়িতে নিশ্চিন্তে থাকতে পারছি।
মনিয়ারী ইউনিয়নের নওদুলী গ্রামের মোছা মরিয়ম ও আক্তারুন বলেন, আমরা খুবই গরীব মানুষ।
ইউএনও এবং স্বাস্থ্যকর্মীসহ নওগাঁয় ৬০ জনের করোনা শনাক্ত
এক সন্তানকে নিয়ে অন্যের জমিতে অনেক কষ্ট করে থাকতাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সরকারিভাবে ঘর প্রদান করছেন এ খবর পেয়ে ইউএনও স্যারের সাথে দেখা করে একটি ঘরের আবেদন করি।
তিনি আরও বলেন, ইউএনও স্যার নিজে আমার বাড়িতে এসে আমার করুণ দশা দেখে আমাকে একটি ঘর নির্মাণ করে দেন।
আমি কোনদিন ভাবতেও পারিনি সন্তান নিয়ে নিজের বাড়িতে থাকতে পারব।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা নভেন্দু নারায়ণ চৌধুরী বলেন, আত্রাই উপজেলার ২৮টি সুবিধা বঞ্চিত পরিবারকে ঘর নির্মাণ করে দেওয়া হয়েছে।
এতে প্রত্যেক উপকারভোগীর জন্য রয়েছে একটি থাকার ঘর এবং একটি করে স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেটের ব্যবস্থা।
বন্যায় নওগাঁতে ৪ হাজার হেক্টর জমির ফসল পানির নীচে
এব্যাপারে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার (ইউএনও) মো. ছানাউল ইসলাম বলেন, সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী অসহায়, দরিদ্র, স্বামী পরিত্যক্ত, পুনর্বাসিত ভিক্ষুক এবং যার জমি আছে ঘর নেই এমন মানুষকে শনাক্ত করে এসব ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, এই প্রকল্পটির প্রতি আমাদের বিশেষ নজরদারি ছিল।
সরকারি নীতিমালা অনুযায়ী ঘর নির্মাণ কাজ শেষ হয়েছে।
পরিকল্পনা অনুযায়ী তাঁদের এখন ঘড় বুঝিয়ে দেয়া হচ্ছে।
/ আজু