যশোরে অবৈধ ২১১ ক্লিনিক-ডায়াগনস্টিক বন্ধে অভিযান অব্যাহত, ৮টি সিলগালা
সোমবার যশোরে আরও ৬ টি অবৈধ হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার সিলগালা করা হয়েছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু মাউদ জানান, গত ৬ দিনে মোট ৮ টি স্বাস্থ্য প্রতিষ্ঠানে তালা ঝুলিয়ে দেয়া হয়।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইসেন্স ছাড়াই চিকিৎসাসেবা অস্ত্রোপচার ও বিভিন্ন পরীক্ষা নিরীক্ষা কার্যক্রম চালানো অবৈধ তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে।
জেলায় মোট ২৬২ টি হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিকের মধ্যে ২১১ টি অবৈধ চিহ্নিত হয়েছে।
এরমধ্যে ১০৫ টির লাইসেন্স নেই।
মায়ের কবরের পাশে চির নিদ্রাই শায়িত হলেন সাংসদ ইসরাফিল
কর্তৃপক্ষ অনলাইনে আবেদন করেই কার্যক্রম শুরু করেছে।
আর ১০৬টির লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হলেও নবায়ন করা হয়নি।
এছাড়া হালনাগাদ লাইসেন্স রয়েছে এমন প্রতিষ্ঠানের সংখ্যা ৫১ টি।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু মাউদ জানিয়েছেন, সোমবার স্বাস্থ্য বিভাগের অভিযানে সিলগালা করা ৬ টির মধ্যে রয়েছে যশোর শহরের
ঘোপ সেন্ট্রাল রোডের সততা ডায়াগনস্টিক সেন্টার, আধুনিক হাসপাতালের ডায়াগনস্টিক কার্যক্রম, মণিরামপুর উপজেলার
মুন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (হাসপাতাল মোড় শাখা), নিউ প্রগতি হাসপাতাল ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার, নিউ লাইফ ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও
মুন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার (কুয়াদা শাখা)।
রাজশাহীর চারঘাট উপজেলায় কৃষক মাঠ দিবস
এরআগে ২৬ জুলাই রোববার খাজুরার মাতৃভাষা ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ২১ জুলাই বুধবার বসুন্দিয়ার মহুয়া ক্লিনিক সিলগালা করা হয়।
আধুনিক হাসপাতাল ছাড়া কোন প্রতিষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক সেবিকা ও টেকলজিস্ট নেই।
অবৈধভাবে সেখানে অপচিকিৎসা চলছিলো।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু মাউদ আরো জানান, জেলায় মোট ২৬২ টি ক্লিনিক ডায়াগনস্টিকের মধ্যে যশোর শহর ও সদর উপজেলায় রয়েছে ৬৮টি।
যার অর্ধেকের বেশি বর্তমান সময়ে অবৈধভাবে চলছে। তারা এখানো হালনাগাদ লাইসেন্স পাননি।
এছাড়া ৭ টি নতুন পতিষ্ঠানের লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে মালিকপক্ষ।
এরচেয়ে ভয়াবহ অবস্থা বিরাজ করছে বিভিন্ন উপজেলায় অবিস্থত হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারে।
৫ দফা দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বেনাপোল সিএন্ড এফ এজেন্টস এসোসিয়েশন
সরকারের অনুমোদন নিয়ে খুলে বসা এসব প্রতিষ্ঠানে চিকিৎসার নামে চলছে ব্যবসা। তাদের ফাঁদে পড়ে অনেক রোগীই নানা হয়রানি শিকার হচ্ছে।
সাইনবোর্ড সর্বস্ব এসব প্রতিষ্ঠানে নিয়মনীতির বালাই নেই, হাতুড়ে টেকনিশিয়ান দিয়েই চালানো হয় রোগ নির্ণয়ের যাবতীয় পরীক্ষা এবং দেয়া হয় মনগড়া রিপোর্ট।
অপারেশনের জন্য ভাড়া করে আনা হয় চিকিৎসক।
অবৈধ হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টারের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নেয়া হয়েছে।
এক প্রশ্নের উত্তরে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন জানান, প্রতিষ্ঠান মালিক স্বাস্থ্য অধিদফতরের পরিচালকের কাছে লাইসেন্সের জন্য অনলাইনে আবেদন করেছেন।
কিন্তু এসব আবেদন সব ত্রুটিপূর্ণ।
গাছের চারা রোপন করে মন্দিরের জমি দখলের চেষ্টা
যে কারণে স্বাস্থ্য অধিদফতর থেকে ওই প্রতিষ্ঠানগুলো পরিদর্শনের জন্য আজ অবধি কোন চিঠি আসেনি।
সরকারি অনুমোদনের প্রয়োজন মনে না করেই হাসপাতাল ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে বসেছে।
লাইসেন্স না হলে কোন প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালনা করতে দেয়া হবেনা।
২০১৭ সাল পর্যন্ত যাবতীয় রাজস্ব পরিশোধ করে যেসব হাসপাতাল ও ক্লিনিক যথাযথ অনুমোদন হালনাগাদ আছে কেবলমাত্র
সেইসব প্রতিষ্ঠানে কার্যক্রম পরিচালনা করার আপাতত সুযোগ দেয়া হচ্ছে ।
এমন প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনে গিয়ে মালিক পক্ষকে লাইসেন্স করার জন্য সময় বেধে দেয়া হচ্ছে। নির্ধারিত সময়ে লাইসেন্স করতে ব্যর্থ হলে প্রতিষ্ঠানগুলো
অবৈধ ঘোষণা করে বন্ধ করে দেয়া হবে। কথা প্রসঙ্গে ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন বলেন মণিরামপুরে মুন হাসপাতাল এন্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারের দুটি শাখা ছিলো।
এখানকার মালিক আব্দুল হাই চিকিৎসক পরিচয়ে রোগীর চিকিৎসাসেবা, অস্ত্রোপচারে অংশ নেয়াসহ সকল কার্যক্রম তিনি পরিচালনা করে আসছিলেন।
অবৈধ ক্লিনিক ও ডায়াগনস্টিক সেন্টার খুলে সাধারণ মানুষের জীবন নিয়ে খেলছিলেন তিনি। বিষয়টি জানতে পেরে মুন হাসপাতালে অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এসময় সেখানে বিভিন্ন অনিয়ম ও অব্যবস্থাপনা চোখে পড়ায় দুটি শাখা সিলগালা করা হয়েছে।
ইয়োথ অরগানাইজেশন বাংলাদেশ এর উদ্যোগে
ভুয়া চিকিৎসক আব্দুল হাইয়ের প্রতারণার বিষয়ে জেলা প্রশাসনকে অবগত করা হবে।
ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. আবু মাউদ জানান, অবৈধ প্রতিষ্ঠান কোন ভাবেই পরিচালনা করার সুযোগ দেয়া হবে না।
পর্যায়ক্রমে সবগুলোর কার্যক্রম বন্ধ করে দেয়া হবে।
২০১৮ সাল থেকে স্বাস্থ্য অধিদফতর লাইসেন্স নবায়নের প্রক্রিয়াটি ডিজিটালাইজড করার কার্যক্রম শুরু করলেও ভুইফোঁড় প্রতিষ্ঠান মালিকদের কোন কর্ণপাত নেই।
/ বিহো
